জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে বাংলাদেশ ভারতের করদ রাজ্য ছিল। রাজনীতি, সরকারি, বেসরকারি, প্রশাসনসহ সব জায়গায় শেখ হাসিনা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’এর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছিলেন।
‘হাসিনামুক্ত বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর ‘সেনানিবাসে’র অভ্যন্তরে অবস্থিত সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান -এমআইএসটিতে ভারতীয় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা কেন?’ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে, আগামীর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাগপা’র মাসব্যাপী কর্মসূচির ১৩তম দিন ১৩ জুলাই দিনাজপুর বাহাদুর বাজার লিলি মোড়ে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে পথসভার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ প্রধান বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বাংলার মসনদে ফেরানোর জন্য ভারত ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এর মধ্যে সেনানিবাসের অভ্যন্তরে তাদের সামরিক কর্মকর্তারা থাকলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক তথ্য ভারতে পাচার হয়ে যাবে। দেশের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এমআইএসটি থেকে হিন্দুস্থানী সামরিক কর্তাদের সরাতে হবে। একই সাথে দেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় ‘র’এর এজেন্ট কেউ আছে কিনা সে ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারকে খতিয়ে দেখতে হবে।
ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার এবং সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি নিয়ে দেশব্যাপী গণসংযোগ এবং অগাস্ট মাসের ৬ তারিখ খুনি হাসিনাকে ফেরতের দাবিতে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাগপা।
পথসভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাগপা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন প্রধান, সহ-সভাপতি মাহবুব আলম ননী, দিনাজপুর জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুন নবী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইমরুল কায়েস রূপম, দিনাজপুর জাগপা নেতা বাপ্পি চৌধুরী, গাজী নুরুজ্জামান, ফিরোজ কবীর, অরুণ মোহন্ত, সোহেল রানা, জেলা শ্রমিক নেতা মিস্টার আলী, আমিনুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, জেলা যুব নেতা হৃদয় বাকি, শহিদুল ইসলাম, রাফি ইসলাম, জেলা ছাত্র নেতা আল আমিন প্রমুখ