১৭ মার্চ ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণকে রণক্ষেত্রে পরিণত করা, পুলিশি তাণ্ডব ও সাংবাদিক-আইনজীবীদের উপর হামলা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।
শুক্রবার (১৭ই মার্চ) ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার একদিকে গণতন্ত্রের কথা বলে অন্যদিকে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে ব্যালট ছিনতাই ও ভোট ডাকাতি করছে। আসলে দেশের জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ। এমনকি এফবিসিসিআই, কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন, বিএমএ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনসহ অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠনেরও আজ আর নির্বাচন হয় না। সরকারদলীয় লোকদের মনোনয়ন দিয়ে সিলেকশনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হচ্ছে। তারই সর্বশেষ প্রকাশ গত বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার নির্বাচনের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে।
তারা বলেন, সুপ্রিম কোর্টে পুলিশি হামলা, সাংবাদিক-আইনজীবীদেরকে আহত করার ঘটনার দায় সরকার ও আদালতের অভিভাবক হিসেবে প্রধান বিচারপতিও এড়াতে পারেন না। প্রস্তাবে ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান বিচারপতি ও সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাই। সেইসঙ্গে একটি পেশাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুলিশকে তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাই। তারা কোনো ব্যক্তি বা দল বিশেষের অনুগত হয় কাজ করবেনা বলেই আমরা প্রত্যাশা করি।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (২০২৩-২৪) নির্বাচন পরিচালনা–সংক্রান্ত কমিটি নিয়ে বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীদের প্রতিবাদের কারণে তাঁদের ওপর ১৫ই মার্চ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পুলিশের গুণ্ডারা হামলা চালিয়েছে। পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জে বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও সাংবাদিকরাও আহত হয়েছিলেন।
নজিরবিহীন এই ঘটনাকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।