আত্মরক্ষার্থে নুরুল ইসলাম নাহিদসহ আওয়ামী নেতারা চেয়ারের নিচেএকজনের মৃত্যু
১৪ নভেম্বর ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সন্ত্রাস থেকে নেতারা নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য চেয়ারকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে হয়েছে। চেয়ারের নিচে নিজেদের লুকিয়ে রেখে আওয়ামী সন্ত্রাস দেখেছেন আওয়ামী নেতারা। আওয়ামী লীগের নিজেদের সন্ত্রাসে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম আজমল হোসেন চৌধুরী। তিনি কুলঞ্জ গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা সদরের বিএডিসি মাঠে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
চেয়ার মাথায় নিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাস উপভোগ করেছেন আওয়ামী নেতারা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নুরুল ইসলাম নাহিদকে ছবিতে দেখা গেছে চেয়ারের নিচে মাথা দিয়ে বিড়ালের মত আওয়ামী সন্ত্রাস উপভোগ করছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়া দাবি করেন, সন্ত্রাসে নিহত আজমল হোসেন চৌধুরী তার সন্ত্রাসী গ্রুপের কর্মী। দুই সন্ত্রাসী গ্রুপে সংঘর্ষের সময় সাংসদ জয়া সেনগুপ্তের সন্ত্রাসীদের আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পর আজমলের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার দুপুরে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে মঞ্চে উঠা নিয়ে সভায় সাবেক পৌর মেয়র মোশারফ মিয়া ও সাংসদ জয়া সেনগুপ্তের সন্ত্রাসীদের মধ্যে মুখোমুখি এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষ একে অপরকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ও চেয়ার ছুড়ে। দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়ার সমর্থকদের মঞ্চে উঠতে না দেওয়ায় সভা শুরুর পর পর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল ইসলাম নাহিদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুল সামাদ আজাদ ডন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সহ-সভাপতি নোমান বখত পলিন, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্ত, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম-সহ কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তারা চেয়ারকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আত্মরক্ষা করেন।