Site icon The Bangladesh Chronicle

সিঙ্গাপুরের আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর!

সময় নিউজ | সময়ের প্রয়োজনে সময়

15 February 2023

বড় বড় জাহাজ প্রবেশের সুবিধার্থে সিঙ্গাপুরের আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের জেটি। দেশের আর কোনো বন্দরে এ সুবিধা না থাকলেও, মাতারবাড়ির টাউনশিপ এলাকাতেই থাকবে মাদার ভ্যাসেলের অবস্থান। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে এখানকার সাগরের গভীরতা বাড়ানোর পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে নতুন চ্যানেল।

ধীরে ধীরে বাস্তব রূপ পাচ্ছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর
ধীরে ধীরে বাস্তব রূপ পাচ্ছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর

কমল দে

২ মিনিটে পড়ুন

মহেশখালীর মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজের সুবিধার্থে চীন থেকে আনা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ড্রেজার মেশিন ‘ক্যাসিওপিয়া-ফোর’ সাগরের বুকে রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে। সাগরের কাদা মাটি অপসারণ করে একেবারে তীরে নীল জলরাশি আনার পেছনে এ মেশিনের বড় ভূমিকা রয়েছে।

চীনের এ ড্রেজার মেশিনটি গত কয়েক বছরে অন্তত ৩৫ লাখ ঘন মিটার মাটি অপসারণের মাধ্যমে তৈরি করেছে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং সাড়ে ৩শ মিটার প্রস্থের নতুন চ্যানেলটি। সাগর থেকে অপসারণ করা মাটিতেই তৈরি হয়ে গেছে মাইলের পর মাইল নতুন ভূমি। যেখানে গড়ে উঠছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নানা স্থাপনা। আর এখানেই গড়ে উঠবে বাংলাদেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর।

বন্দরের জেটি এবং কনটেইনার ইয়ার্ড নির্মাণের কাজও শুরু হবে শিগগিরই। ১৬ মিটার গভীরতার এ চ্যানেলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাহাজটিও ঢুকতে পারবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, বর্তমানে দুই থেকে আড়াই হাজার কনটেইনারবাহী জাহাজ এখানে আসে। সেখানে ৮ থেকে ১০ হাজার কনটেইনার নিয়েও এক একটা জাহাজ আসতে পারবে এ চ্যানেলে। এতে খরচ কমবে এবং লোকজন এ বন্দরটিকেই তাদের কার্যক্রমের জন্য বেছে নেবে।

আরও পড়ুন: মাতারবাড়িতে হবে এলএনজি টার্মিনাল! 

দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোর পণ্য নিয়ে ইউরোপ-আমেরিকাগামী জাহাজকে সিঙ্গাপুর-শ্রীলংকার কলম্বো-মালয়েশিয়ার তাঞ্জুমপালাপাস এবং কেলাংকে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হিসেবে ব্যবহার করতে হয়। আগামীতে সমুদ্রগামী জাহাজগুলোর জন্য মাতারবাড়ি বন্দরই ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হিসেবে গড়ে উঠবে। এ লক্ষ্যে অনেকটা সিঙ্গাপুর বন্দরের আদলেই এটিকে গড়ে তোলা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘আমরা এখানে বেশি ভলিউমের কার্গো নিয়ে আসতে পারব। যেমন- এখানে ৮ থেকে ১০ হাজার টিইইউএস কনটেইনার জাহাজে করে নিয়ে আসতে পারব এবং তা সরাসরি আসবে। এতে সময় এবং অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে।’

ক্যাসিওপিয়া-ফোর নামের চীনা এ ড্রেজারটি ৩২ ইঞ্চি ডায়ামিটারের। এর মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় সাড়ে আট হাজার বর্গমিটার সাগরের মাটি অপসারণ করে অন্তত ৬ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। নতুন এ চ্যানেলে এরই মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে আসা ১১২টি জাহাজ ভেড়ানো হয়েছে।

Exit mobile version