কোনো দেশের সশস্ত্র বাহিনীর আকার, অর্থনৈতিক অবস্থা, লজিস্টিক সক্ষমতা ও ভৌগোলিক অবস্থানের মতো ৬০টির বেশি বিষয় বিশ্লেষণ করে এই সূচক তৈরি করা হয়। সূচকে যে দেশের স্কোর যত কম থাকে, সামরিক সক্ষমতার তালিকায় সেই দেশ তত এগিয়ে থাকে।
এবারের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর শূন্য দশমিক ৫৪১৯। সবচেয়ে কম শূন্য দশমিক ০৬৯৯ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শীর্ষ দশের তালিকায় এর পরে রয়েছে যথাক্রমে রাশিয়া, চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, জাপান, তুরস্ক, পাকিস্তান ও ইতালি।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তিমত্তার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমার। বাংলাদেশের পরে রয়েছে শ্রীলংকা, নেপাল ও ভুটানের অবস্থান।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে সক্রিয় সেনা রয়েছেন আনুমানিক এক লাখ ৬০ হাজার। সেনাবাহিনীতে ট্যাংকের সংখ্যা ৩২০টি। সামরিক যান রয়েছে ১৩ হাজার ১০০টি।
নৌবাহিনীর সক্রিয় সদস্য রয়েছেন ২৫ হাজার ১০০ জন। এ বাহিনীর জাহাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্রিগেট সাতটি, করভেট ছয়টি, সাবমেরিন দুটি, টহল নৌযান ৩০টি এবং মাইন ওয়ারফেয়ার রয়েছে পাঁচটি।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সক্রিয় সদস্যের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪০০ জন। এ বাহিনীর মোট উড়োজাহাজের সংখ্যা ২১৬টি। এর মধ্যে যুদ্ধবিমান ৪৪টি, হেলিকপ্টার ৭৩টি, পরিবহণ বিমান ১৬টি ও প্রশিক্ষণ বিমান ৮৫টি। বিশেষ অভিযানের জন্য রয়েছে চারটি যুদ্ধবিমান।
যুগান্তর