ঢাকা
গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগ ও পথসভায় জোট নেতারা অভিযোগ করেছেন, সরকার উন্নয়নের নামে লুটপাটের নীতি গ্রহণ করেছে। বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। লুটপাট ও পাচারের ফলে দেশে ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে। অথচ এই সংকটকে পুঁজি করে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তোলা হয়েছে। আর সরকারের ছায়াতলে থাকা কতিপয় লুটেরা এতে লাভবান হচ্ছেন।
আজ সোমবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। ‘জ্বালানি তেলের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার ও দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে এবং সরকার ও শাসনব্যবস্থা বদলাতে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে’ ২৭ আগস্ট বিক্ষোভ ও পদযাত্রার ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। এ উপলক্ষে আজ জোটের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, সরকার অযৌক্তিকভাবে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে জনগণের নাভিশ্বাস তুলেছে। বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে যুক্তি দেখানো হলেও গত সাত বছরে জ্বালানি বেচে সরকার ৪৮ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। সরকার চাইলেই সমন্বয় করে জনগণের ভোগান্তি কমাতে পারত। কিন্তু তা না করে সরকার তার লুটপাট-দুর্নীতির ব্যয়ভার জনগণের ওপর চাপাচ্ছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা আরও বলেন, সরকার তার অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে সারা দেশে গুম-খুন, পুলিশি হত্যাকাণ্ড, নিজস্ব গুন্ডা বাহিনী দিয়ে হামলা ও ভয় দেখানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। সারা দেশে চা–শ্রমিকেরা দিনে মাত্র ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন করছেন। অথচ দাবি না মেনে তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছে। বর্তমানের বাজারে এই মজুরি অমানবিক। বক্তারা অবিলম্বে চা–শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরির ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানান।
পথসভায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহসভাপতি তানিয়া রব, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ বক্তব্য দেন।