- অনলাইন প্রতিবেদক
- ০৫ ডিসেম্বর ২০২০
বিএনপির ক্ষমতায় আসতে হলে তারেক রহমানকে নয় তার একমাত্র মেয়ে জায়মা জারনাজ রহমানকে সাথে নিয়ে নামতে হবে বলে মনে করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি মনে করেন জায়মা এলে যে আন্দোলনের জোয়ার শুরু হবে তাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি তার যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী এসেছে তা টের পাবেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যদি বিএনপি সত্যি চায় শেখ হাসিনার ক্ষমতার পট পরিবর্তন হোক, তাহলে বিএনপির দায়িত্ব অনেক বেশি এখানে। তারেকের স্তুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারবেন না কোনোদিন। আপনারা যদি সত্যিকার অর্থে ক্ষমতায় আসতে চান, জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করতে চান, মাঠে বসতে হলে খোকনের মতো যারা আছেন, তারা আমার মতে জাইমাকে সাথে নিয়ে নামতে পারেন। তারেককে নিয়ে নয়। আমি তারেককে কোনো দোষ দিচ্ছি না। স্ট্রাটেজি বলে একটা কথা আছে, আমরা বললেই তার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার হবে না এবং বাংলাদেশের মাটিতে ফিরতে পারবে না, একমাত্র গণতন্ত্রের বিজয় হলেই তারেক দেশে ফিরতে পারবে।
তিনি বলেন, বিএনপির উচিত খালেদা জিয়াকে প্রতিদিন ঘরের মধ্যে আবদ্ধ না রেখে, প্রতিদিন ১১টা থেকে ১২ রোদের মধ্যে বসানো। যাতে জনগণ দেখতে পায় তাদের নেত্রীকে অন্যায়ভাবে আটকে আন্দোলনকে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে যদি জায়মা আসে তাহলে তাকে নিয়ে সারাদেশ ঘুরে বেড়াবে। তখনই দেখবেন জোয়ার কিভাবে উঠে, তখনই শেখ হাসিনা টের পাবেন তার যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী এসেছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ঘরের ভেতর যেসব কথা বলি কাজে তা প্রমাণ করি না। বিশেষ করে বিএনপি বেলায় একথা প্রযোজ্য। বিএনপিতে যেখানে খোকন, হাফিজ, আলালের মতো লোক আছে, এতোগুলো তরুণ আছে, খালেদা জিয়া কেন চুপচাপ গুলশানের মতো বাড়িতে আবদ্ধ থাকবে। জজ সাহেবরা একটা অন্যায় বিচার করেছেন, দুই কোটি টাকার জন্য সেই বিচার এখনো সমাপ্ত হয়নি। অন্তত পক্ষে জামিনটা তো অবশ্যই হওয়া উচিত।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, এখন সরকার জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ষড়যন্ত্র বলেছেন। এই ষড়যন্ত্র কারা করেছে? এই সরকারই তো করেছে। এই ষড়যন্ত্রের মূল ভিত্তি দুর্নীতি। সাত হাজার কোটি টাকা দিয়ে যে পদ্মা ব্রিজ হতো সেটা ৫০ হাজার কোটিতে পৌঁছেছে। এই টাকা কোথায় যাবে, এর হাজারটা প্রমাণ আছে।
ভাস্কর্য বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকে আলেমদের দিয়ে যে বিতর্ক আনা হয়েছে তার জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী। এয়ারপোর্টের সামনে লালনের ভাস্কর্য ছিল সেটা নিয়ে হুমকি ধামকি শুনে সরকার চুপচাপ বসে ছিল। এদেরকে দিয়ে আবার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখছেন ফলে গায়ে লাগছে। গায়ে লাগতে লাগতে তারা আজকে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আমার একটা বক্তব্য নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে, আমি সে সম্পর্কে বলতে চাই – আলেমরা শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি, আপনাদের অযথা বিতর্কে জড়িয়ে পড়া ঠিক না। আজকে ভাস্কর্য বিতর্কে যাওয়া ইসলামের জন্য ক্ষতিকর। ভাস্কর্য বিতর্কে না জড়িয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আসেন।
জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্মমহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গণস্বাস্থ্য গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মোহাম্মদ আনোয়ার, শাহাজাহান মিয়া শসম্রাট, এম রকিবুল ইসলাম রিপন, ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী সেলিনা সুলতানা নিশিতা প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত।