রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে কখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না। তাই দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারান্টি হচ্ছে এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ। সেখানে একজন দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিকে প্রধান করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই কেবল মাত্র সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে।
তিনি বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের শক্তিকে ব্যবহার করছে, তা প্রতিদিন সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। আর দেশের মানুষ এখন পরাধীন। আমরা এখন একক উপনিবেশ শাসনের অধীনে রয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার কোন শক্তির প্রতিনিধি হিসেবে এ দেশে কাজ করছে?
রিজভী বলেন, কয়েকটি দেশ রয়েছে, তারা বাংলাদেশের কৃষ্টি-কালচার, সংস্কৃতির ধার ধারে না। এখানে একটা অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চলছে। সেটা বজায় রাখতে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করতে হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে।
সেজন্য শেখ হাসিনা কাউকে তোয়াক্কা করছেন না। দেশে গণতন্ত্র নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না।
তিনি আরো বলেন, সরকার দেশের সকল জনগণকে পশুর ঘরের মধ্যে আটকে রেখেছে। গোটা দেশকে পশুর খোয়ারে পরিণত করতে চাচ্ছে। এই অন্যায় অবিচার জুলুম আর কতদিন চলবে? আমাদের সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে। শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরায় এই জুলুম ও অত্যাচারের শিকার হচ্ছে না, গণমাধ্যম কর্মীরা এবং নানান পেশার মানুষ সরকারের জুলুম ও অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ করতে হলে গণতন্ত্রের আন্দোলন আরো বেগবান করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, মামলা, আসামি, আহত ও মৃত্যুর তথ্য তুলে ধরেন তিনি। রিজভী জানান, এসময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৫৫ জন নেতাকর্মীকে, মারা গেছেন ১ জন, আহত হয়েছে ৩৫ জন এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে ৭টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৮৭০ জন নেতাকর্মীকে।