নুরুল হক নুর বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এভাবে গুলি করে মানুষ হত্যা করলো, আহত করলো, আমরা চুপ থাকতে পারি না। এর বিহিত হওয়া দরকার। গত ২৮শে অক্টোবর ছাত্রলীগ- যুবলীগ আমাদের যুব অধিকার পরিষদের নেতা সায়মনের পেটে গুলি করেছে। এখন হাসপাতালে ভর্তি আছে, শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতা রুবেলকে পুলিশ গুলি করে তার বাম চোখ নষ্ট করে দিছে। গত পরশু আমাদের প্রোগ্রাম শেষে ফেরার পথে গণঅধিকার পরিষদের নেতা উজ্জলকে তুলে নিয়ে পুলিশ নাশকতার মামলা দিয়েছে। বিদেশে থাকে, মারা গেছে-এমন মানুষকেও পুলিশ মামলার আসামি করছে। জনগণের সেবক হয়ে পুলিশ এভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং গ্রেপ্তার করে মানুষকে হয়রানি করতে পারে না। প্রশাসনকে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে নুর বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে, হয়রানি করে আপনাদের বাবা-মাকে গালি শুনাবেন না। মানুষের অভিশাপ নিবেন না। এজন্য মরার পরও আপনাদেরকে জবাবদিহিতা করতে হবে।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আমাদের ওপর যারা অত্যাচার করছে আল্লাহ তাদের বিচার করবে। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে তাদের রুহের আত্মা মাগফিরাত কামনা করছি। গণঅধিকার পরিষদের তরুণ ও সাহসী নেতাদের ধন্যবাদ যে, তারা এতো হামলা-মামলার পর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
গায়েবানা জানাজা ও দোয়া শেষে একটি মিছিল বের করে গণঅধিকার পরিষদ। মিছিলটি পুরানা পল্টন ঘুরে, নাইটিঙ্গেল মোড়, বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে ফকিরাপুল হয়ে কালভার্ট রোডে গিয়ে শেষ হয়।
গায়েবানা জানাজা ও দোয়ায় উপস্থিত আরো ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, এডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, আরিফ তালুকদার, সহ সভাপতি নিজাম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, রবিউল ইসলাম, জিলু খান, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব প্রমুখ।
মানব জমিন