এরমধ্যে ৬ জন নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে ছিলেন। ২ জন বলেছেন, গেলেও ভালো না গেলেও হয়।
পরে সবাই মিলে ড. কামাল হোসেনের কাছে গেলে তিনি বলেন যে, অধিকাংশের যে সিদ্ধান্ত- তাই হবে। ড. কামাল হোসেনের এই সিদ্ধান্ত না মেনে পরের দিনই মফিজুল ইসলাম খান কামাল ইসিতে গিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। আর নিজের স্বাক্ষরেই তার এবং অন্যদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। যেখানে গণফোরামের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া এবং প্রতীক বরাদ্দের স্বাক্ষরের ক্ষমতা দলটির সাধারণ সম্পাদকের। এ বিষয়ে গতকাল গণফোরামের তলবি সভা ডাকা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মফিজুল ইসলাম খান কামালকে দলের সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি চিঠি তাকে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানা গেছে। মফিজুল ইসলাম খান কামাল টাকার বিনিময়ে নির্বাচনে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে গণফোরামের এক শীর্ষ নেতা মানবজমিনকে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে গণফোরাম সভাপতি মফিজুল ইসলাম খান কামাল মানবজমিনকে বলেন, সভা কে ডেকেছিল? তারা কি সভা ডাকতে সভাপতির অনুমতি নিয়েছিলেন? আসলে আমি তাদের কথা শুনি নাই বলে তাদের বুকে ব্যথা। আর এটা পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে। এসব ভোগাস। ৩ কোটি টাকার বিনিময়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফাউল রাজনীতি আমি করি না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রিন্সিপাল। আমার পরিবারে এসব নেই। আর আমি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করেছি। এ বিষয়ে নো কমেন্ট।
গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, বৈঠকে আমরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা সমীচিন হবে না। জাতীয় সংলাপের মধ্যদিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির কথা আমরা বলেছিলাম। এটা করলে আমরা নির্বাচনে যেতাম। কিন্তু মফিজুল ইসলাম খান কামাল দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি নিজেই স্বাক্ষর করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যেখানে মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দের স্বাক্ষরের অথরিটি দলের সাধারণ সম্পাদকের। এজন্য দলের তলবি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে তাকে দল থেকে অপসারণ করা হয়। এটা তাকে মোবাইল ফোনে জানিয়েও দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত গণফোরামের কতোজন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন- জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের দলের পার্লামেন্টারি বোর্ডের কাছে কোনো আবেদন পড়েনি। মনোনয়ন স্বাক্ষরের অফিসিয়ালি কোনো ডকুমেন্টও নেই। গণফোরামের এই অংশের দলের ইমিরেটাস সভাপতি দলটির প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেন। সভাপতি মফিজুল ইসলাম খান কামাল এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান। অন্যদিকে মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও এডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের আরেক অংশ নির্বাচন বর্জন করে সরকার পতনে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে রয়েছে।
মানব জমিন