Site icon The Bangladesh Chronicle

শ্রীলংকা আবার উত্তাল

মানবজমিন ডেস্ক

(১২ ঘন্টা আগে) ১৫ মার্চ ২০২৩, বুধবার, ৮:৩৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বশর্ত অনুযায়ী ট্যাক্স বৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির প্রতিবাদ, ধর্মঘট করছেন শ্রীলংকার হাজার হাজার মানুষ। এর মধ্যে আছেন হাসপাতাল, স্কুল ও রেলওয়ের কর্মীরা। প্রতিবাদে বুধবার পূর্বনির্ধারিত টার্ম পরীক্ষা বাতিল করেছে স্কুলগুলো। সরকারি খাতে কর্মী সংকটের কারণে হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগ বন্ধ ছিল এদিন। এসব প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন কমপক্ষে ৪০টি ট্রেড ইউনিয়নের কর্মী। এ সময় সড়কে দেখা গেছে যৎসামান্য গাড়ি। ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা সম্মিলিত প্রতিবাদ বিক্ষোভে যোগ দেয়ার ফলে কলম্বোতে প্রধান সমুদ্রবন্দরের ডকাররা ছিলেন কাজ থেকে দূরে। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলেও বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সংগঠনের সেক্রেটারি রজিথা সেনেভিরাত্নে বলেছেন, সার্বিকভাবে আমাদের কাজ হয়েছে দু’ঘন্টার। সরকার যদি ট্যাক্সের নতুন হার থেকে ফিরে না আসে, তাহলে আমাদের এই ধর্মঘট হবে পূর্ণমাত্রার।

এর ফলে রেল স্টেশনগুলোতে মোতায়েন করা হয় সশস্ত্র সেনা সদস্যদের। বন্দরের ভিতরে সেনাবাহিনীর উপস্থিতির ফলে ডক শ্রমিকদের মধ্যে ছিল টান টান উত্তেজনা। তবে কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। দেশটির প্রেসিডেন্ট রণিল বীক্রমেসিংহের অফিস থেকে বলা হয়েছে, কর্মজীবীদেরকে রাজধানীতে নিয়ে যেতে চলাচল করেছে ২০টি ট্রেন। কিন্তু ইউনিয়নগুলো বলছে, প্রতিদিন যে পরিমাণ ট্রেন চলাচল করে বুধবার চলেছে তার শতকরা ৫ ভাগেরও কম। প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে বলা হয়েছে রাষ্ট্রপরিচালিত বাস চলাচল করেছে। কিন্তু রাস্তায় দেখা গেছে খুবই কম সংখ্যক গাড়ি। স্কুল, অফিস, কারখানায় উপস্থিতি নাটকীয়ভাবে কমে গিয়েছিল।
গত মাসে প্রেসিডেন্ট একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তাতে বলা হয়, যারা নিয়ম লংঘন করবেন তারা চাকরি হারাতে পারেন। তার এমন সতর্কতা থাকার পরও ইউনিয়নগুলো রাস্তায় নেমে আসে। ট্রেড ইউনিয়নের মুখপাত্র হরিথা আলুথগে বলেন, রাতভর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে তারা বুধবার ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছেন। জানুয়ারি থেকে ট্যাক্স বৃদ্ধিসহ সব কিছুর দাম বাড়ার প্রতিবাদে এতে যোগ দিয়েছেন অনেক পেশাদার সংগঠনও।

Exit mobile version