Site icon The Bangladesh Chronicle

শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চাইল মার্কিন প্রতিনিধি দল

শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চাইল মার্কিন প্রতিনিধি দল

“আমি তাদের অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলেছি, বাংলাদেশ আগের সংস্কৃতি নাই যে, বিচার হবে না,” বলেন আনিসুল হক।

<div class="paragraphs"><p>যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।</p></div>

যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
13 July 2023

আমি তাদের অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলেছি, বাংলাদেশ আগের সংস্কৃতি নাই যে, বিচার হবে না,” বলেন আনিসুল হক।

গাজীপুরের শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছে বাংলাদেশ সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দল।

যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করে এই দাবি জানায়।

বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “উনারা শহিদুল ইসলামের (গাজীপুরের শ্রমিক নেতা) মৃত্যু নিয়ে কথা বলেছেন। … তারা শুধু এটুকু বলেছেন, সুষ্ঠু তদন্ত হলে সেটা ভালো।

“আমি তাদের অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলেছি, বাংলাদেশ আগের সংস্কৃতি নাই যে, বিচার হবে না। বাংলাদেশে এখন যে কোনো অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার হয় এবং তাই হবে।”

মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো কথা হয়নি জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, “তারাও জিজ্ঞাসা করেননি, আমারও বলার প্রয়োজন হয়নি।”

তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “এ আইন নিয়ে আমি আগেও যে কথা বলেছি, ঠিক সেই কথাগুলো আমি উনাদের আজ বলেছি। আগের মতই বলেছি যে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশোধন হবে।”

দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশ সফরের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নয়া দিল্লি থেকে ঢাকায় পৌঁছান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া।

দ্বিপক্ষীয় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে মানবাধিকার, শ্রমিক অধিকার, নির্বাচন ও রোহিঙ্গা সঙ্কট রয়েছে তার সফরের আলোচ্য সূচিতে।

বছর শেষ বা আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপের মধ্যে আজরা জেয়ার এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করছেন বিশ্লেষকরা।

আইনমন্ত্রী বলেন, “উনারা স্পষ্টভাবেই বলেছেন, সব দেশেই অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চান। গতকাল (বুধবার) আমার সচিব ইউরোপীয় ইউনিয়নের টিমকে যেভাবে বলেছে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার যে আইনি কাঠামো, সেটা বাংলাদেশে আছে। যে আইনগুলো এ ব্যাপারে সহায়ক, আমি সেগুলোর কথা উল্লেখ করেছি।

“আমরা সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যে আইনটি করেছি, সেটি সম্পর্কে কথা বলেছি। এটাও বলেছি, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে এ আইন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এ আইনটি করেছে। এছাড়া উপমহাদেশে অন্য কোনো দেশে এ আইন নেই, সেটাও আমি বলেছি।”

অন্যদের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিট্যান্ট সেক্রেটারি ডনাল্ড লু এবং যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) উপ-সহকারী প্রশাসক অঞ্জলী কৌর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version