Site icon The Bangladesh Chronicle

শ্বশুরবাড়ির এলাকায় এসে রোমাঞ্চিত মঈন


ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার। ঘূর্ণি বল হাতে দুরন্ত। ব্যাট হাতেও খেলেন ঝড়ো ইনিংস। লম্বা দাড়ির সেই মঈন আলী এবার বিপিএলের মাঝ পথে খেলবেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে। সোমবার সিলেটে কুমিল্লা খেলবে বরিশালের বিরুদ্ধে। সব কিছু ঠিক থাকলে এই ম্যাচে দেখা যেতে পারে মঈন আলীকে।

রোববার সিলেটে অনুশীলন করেন মঈন। এরপর কথা বলেন সাংবাদিকদের সাথে। প্রকাশ করেন খেলার বাইরেও কিছু রোমাঞ্চের আবহ।

এই সিলেটে মঈনের শ্বশুরবাড়ি। অথচ এবার আসলেন প্রথমবারের মতো। মঈনের স্ত্রী ফিরোজা হোসেনের শেকড় এই শহরে। পীর মহল্লা এলাকায় ফিরোজার পৈতৃক বাড়ি। ফিরোজার জন্ম ও বেড়ে ওঠা অবশ্য ইংল্যান্ডে। সেখানেই মঈনের সঙ্গে পরিচয় ও পরিণয়। বাবার সঙ্গে ফিরোজা বেশ কয়েকবার এসেছেন এই শহরে। তবে মঈনের কখনো আসা হয়নি। এবার হলো।

মঈন বলেন, পারিবারিক পুনর্মিলনীও হয়ে যাচ্ছে এই সুযোগে।

তিনি বলেন, ‘সিলেটে আমার এবারই প্রথম। ওরা আমাকে সবসময় বলত, ‘চলো সিলেটে যাই।’ কিন্তু সময় হয়ে ওঠেনি। এবার আসতে পেরে ভালো লাগছে। হতাশাজনক যে, বাইরে যেতে পারছি না (জৈব-সুরক্ষা বলয়ের কারণে)। তবে এখানে এসে আমার ভালো লাগছে। আমার পরিবার এখানকার। খুবই খুশি আমি।’

‘পরিবারের অনেকেই এসেছে। আমার স্ত্রী এখানে। তার বোনরা, আমরা শ্যালক, সবাই আছে। ওরা ঢাকায় আছে, দিন দুয়েকের মধ্যে সিলেটে আসবে সবাই।’

মঈনের নিজের শেকড়ে পাকিস্তানে। তবে জন্ম-বেড়ে ওঠা তারও ইংল্যান্ডেই। তার দাদা ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিলেন পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরের মিরপুর থেকে।

মঈনের জন্ম পাকিস্তানে। বউয়ের বাংলাদেশে। বেড়ে উঠা ইংল্যান্ডে। এই তিন দেশই মঈনের কাছে বিশেষ জায়গা দখল করে আছে।

বলেন, ‘বাংলাদেশ আমার বাড়ি, পাকিস্তান-ইংল্যান্ড সবই আমার ঘর। আমার চোখে সব এক। আমার শ্বশুর বাড়ির সব আত্মীয়রা এখানে থাকেন। তাদের সবাইকে অনেক শ্রদ্ধা করি। ’

সিলেটের ভাষাও রপ্ত করছেন মঈন। তিনি বলেন, ‘কয়েকটি সিলেটি শব্দ জানি আমি, এই তো। সত্যি বলতে, আরো বেশি জানতে পারলে ভালো লাগত। চেষ্টা করব আরো শিখতে। এখন হোটেলে লোকেরা আমার সঙ্গে সিলেটি কথা বলছে। চেষ্টা করছি শিখতে।’

Exit mobile version