Site icon The Bangladesh Chronicle

শেয়ার লেনদেনে অচলাবস্থায় বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত!

দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্পাত খাতের কোম্পানির মধ্যে ভালো ও বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগকারীদের নিয়মিত লভ্যাংশ দেয়। এ খাতের দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত লভ্যাংশ দেয় না। এমন পার্থক্য থাকলেও পুঁজিবাজারে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের তেমন লেনদেন হয় না। এ কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বিপাকে আছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্পাত খাতের কোম্পানির রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড (আরএসআরএম), এসএস স্টিল লিমিটেড, অ্যাপোলো ইস্পাত লিমিটেড এবং ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেম লিমিটেড ছোট ও দুর্বল প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত লভ্যাংশ দেয় না। এমন পার্থক্য থাকলেও পুঁজিবাজারে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের তেমন লেনদেন হয় না। গত বৃহস্পতিবার ইস্পাত খাতের তিন কোম্পানির কোনো শেয়ারই লেনদেন হয়নি। বাকিগুলোর মধ্যে চারটির লেনদেন হয়েছে নামমাত্র। শুধু একটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন ছিল উল্লেখযোগ্য।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওই দিনের লেনদেন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলসের (বিএসআরএম) কোন শেয়ার লেনদেন হয়নি। বিএসআরএম লিমিটেডের মোট শেয়ার সংখ্যা ২৯ কোটি ৮৬ লাখ। একই মালিকানার আরেক প্রতিষ্ঠান  বিএসআরএম স্টিল লিমিটেডের মোট ৩৭ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার সংখ্যার বিপরীতে মাত্র ৩৯টি শেয়ারের মালিকানা বদল হয়েছে। একইভাবে অবস্থা জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের। প্রতিষ্ঠানটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৪৬ কোটি আট লাখ। এর বিপরীতে সারা দিনে মাত্র ৪১০টি শেয়ারের মালিকানা হাতবদল হয়।

এদিকে আরএসআরএমে শেয়ারের মালিকানা বদল হয় ৫৩ হাজার ৭৮৫টি। আর প্রতিষ্ঠানটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ১২ লাখ। এসএস স্টিলের ১৮০টি শেয়ার হাতবদল হলো। অথচ এসএস স্টিলের মোট শেয়ার সংখ্যা ৩২ কোটি ৮৬ লাখ। বন্ধ অ্যাপোলো ইস্পাতের মোট শেয়ার সংখ্যা ৪০ কোটি ১৩ লাখ। এ কোম্পানিটির কোন শেয়ারও লেনদেন হয়নি। এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলের মোট শেয়ার ৯ কোটি ৮৪ লাখ। অথচ গত বৃহস্পতিবার এ কোম্পানিরও কোন শেয়ারের মালিকানা বদল হয়নি। এছাড়া ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমের মাত্র এক হাজার ২৩টি শেয়ার লেনদেন হয়। অথচ ডমিনেজের শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ২৬ লাখ। আর এসব কোম্পানির সাধারণ বিনিয়োগকারীরা গত এক বছরের বেশি সময় ধরে বিনিয়োগকৃত আটকে আছে। এ কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বিপাকে আছে।

ইস্পাত খাতের একাধিক কোম্পানিতে বিনিয়োগকারী এমএ কাদের শেয়ার বিজকে বলেন, ফ্লোর প্রাইসের কারণে বাজারের অধিকাংশ শেয়ারের লেনদেন হচ্ছে না। ফলে আমরা ভালো কোম্পানির শেয়ারে আটকে আছি।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্পাত খাতের একটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেয়ার বিজকে বলেন, পুঁজিবাজারের শেয়ারের লেনদনে হবেÑএটা স্বাভাবিক। কিন্তু কভিডকালে বিএসইসি একটা নিয়ম করেছে, যা সবার জন্য গলাকাটা হয়েছে। যদিও বাজারের শেয়ারের লেনদেন কমে হবে তা কোম্পানির পরিচালকদের ওপর নির্ভর করে না। এটা বিনিয়োগকারীদের ওপর নির্ভর করে।

শেয়ারবিজ

Exit mobile version