শেখ হাসিনা এক চরম সেনাবাহিনী বিদ্বেষী পারিবারিক পরিবেশে বড় হয়েছেন। জেনারেল আইয়ুব খান ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে প্রথম সামরিক আইন জারি করে যে সকল রাজনীতিবিদদের গ্রেফতার করেছিলেন তার মধ্যে শেখ মুজিবর রহমানও ছিলেন। তৎকালীন প্রাদেশিক মন্ত্রি মুজিব দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। ১৯৬৮ সালে আইয়ুব খানের সরকারই শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে বিচার আরম্ভ করেছিল। সেই বিচারও অনুষ্ঠিত হচ্ছিলো ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সামরিক আদালতে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ আর এক সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিবকে গ্রেফতারের পর পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তি পর্যন্ত সেখানেই আটক রেখেছিলেন। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কম্যান্ডো ইউনিট শেখ মুজিবকে তার ধানমণ্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতি শেখ মুজিব ও তার পরিবারের বিদ্বেষ পোষণের যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল। দুর্ভাগ্যের বিষয় হোল, স্বাধীন বাংলাদেশে শেখ মুজিব সেই পূর্বের সেনা বিদ্বেষের ধারাবাহিকতায় নিজ দেশের সেনাবাহিনীকেও ঘৃণা করতে আরম্ভ করেন।
যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণকে সাথে নিয়ে অসাধারণ নৈপুণ্য ও সাহসিকতার সংগে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল, সেই সেনাবাহিনীর প্রতি শেখ মুজিবের বিদ্বেষ পোষণের পেছনে খানিকটা আত্মগ্লানিও হয়তো কাজ করে থাকতে পারে। বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের বর্ণনা অনুসারে শেখ মুজিব রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার ভয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গ্রেফতারের আগে আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেক অনুনয়বিনয় সত্ত্বেও কিছুতেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে সম্মত হন নাই।
“তাজউদ্দীন আহমেদের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি যখন তাকে বললেন, মুজিব ভাই, এটা আপনাকে বলে যেতেই হবে, কেননা কালকে কী হবে, আমাদের সবাইকে যদি গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়, তাহলে কেউ জানবে না, কী তাদের করতে হবে। এই ঘোষণা [স্বাধীনতার] কোন না কোন জায়গা থেকে কপি করে আমরা জানাব। যদি বেতার মারফত কিছু করা যায়, তাহলে সেটাই করা হবে। শেখ সাহেব তখন উত্তর দিয়েছিলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে একটা দলিল হয়ে থাকবে। এর জন্য পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের জন্য বিচার করতে পারবে”। [মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপরঃ কথোপকথন, প্রথমা প্রকাশন, পৃষ্ঠাঃ ২৮]
যে কাজটি শেখ মুজিব করতে সাহস করেন নাই সেটি ২৫ মার্চ মধ্যরাতেই একজন বাঙালি সামরিক অফিসার চট্টগ্রামে করেছিলেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অফিসার হয়েও তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। সেই সেনা কর্মকর্তা কিন্তু পাকিস্তানী কোর্ট মার্শালের বিচারে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুর ভয় করেন নাই। সেই অসীমসাহসী বাঙালি সেনা অফিসারের নাম মেজর জিয়াউর রহমান। পাকিস্তানের কারাগার থেকে ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে দেশে ফিরে এই ঘটনা জানার পর শেখ মুজিব সম্ভবত হীনমন্যতায় ভুগতেন। সেখান থেকেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এক ধরনের বিদ্বেষবোধ শেখ মুজিবের মনের ভেতরে হয়তো ক্রিয়াশীল হতে শুরু করেছিল। এই কারণেই তিনি রক্ষী বাহিনী সৃষ্টি করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একেবারে বিলুপ্ত করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেনাবাহিনী সম্পর্কে মুজিবের বিদ্বেষের মাত্রা বুঝবার জন্য আমাদের অ্যান্টনি মাসকারেনহাসের ‘এ লেগাসি অব ব্লাড’ বইটি পড়তে হবে। শেখ মুজিবের সাংবাদিক বন্ধুদের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠদের অন্যতম ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই পাকিস্তানী সাংবাদিক। মাসকারেনহাস লিখেছেন,
“মুজিব তার কবর পর্যন্ত সেনাবাহিনীর প্রতি ঘৃণা নিয়ে গেছেন। এই ঘৃণা শুধু তার একার মধ্যে ছিল না। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন তাদের সকলের মধ্যেই একই রকম ঘৃণার বসবাস ছিল। স্বাধীনতার পরে তারা সবসময় আতংকে থাকতেন এই বুঝি সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করলো। এই শঙ্কার ভিত্তি ছিল, স্বাধীনতা যুদ্ধে যখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা রণাঙ্গনে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে প্রাণপনে লড়েছে তখন আওয়ামী লীগের নেতারা কোলকাতায় নিরাপদে থেকেছেন।—-
১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুজিব নিজে আমাকে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠনের বিরুদ্ধে বলেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মত আর একটি দানব সৃষ্টি করতে চাই না’”। [পৃষ্ঠাঃ ৩৫-৩৬]
ইতিহাসের অমোঘ নিয়মে যে সেনাবাহিনীকে শেখ মুজিব এতটা ঘৃণা করতেন তাদেরই এক অংশের হাতে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দুই কন্যা ব্যতীত সপরিবারে নিহত হয়েছিলেন। তার মৃত্যুর সাথে একদলীয় বাকশালের স্বৈরাচারী শাসনেরও অবসান হয়েছিলো। পিতার পর এবার কন্যার মানসিকতা ব্যাখ্যা করা যাক।
শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি তার ঘৃণার তীব্রতা পিতার ঘৃণাকেও ছাড়িয়ে গেছিল। কেবল যে সেনাবাহিনী তার পিতার একদলীয় শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল সেটাই নয়, বাকশালের পতনের পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় একজন জেনারেলই এসেছিলেন। জেনারেল জিয়া সেনাবাহিনী থেকে রাজনীতিতে এসেও অনন্যসাধারণ চরিত্রবলে জনমনে শ্রদ্ধা ও ভালবাসার স্থান করে নিতেও সক্ষম হয়েছিলেন। বাংলাদেশের জনগণ দেখেছে যে, জেনারেল জিয়ার প্রতি এক হিংস্র, বিজাতীয় আক্রোশে শেখ হাসিনা সর্বদা জ্বলেছেন। তাছাড়া, দিল্লীতে ছয় বছরের রাজনৈতিক আশ্রয়কালে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা অবশ্যই শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীবিদ্বেষী ভাবধারায় সম্পূর্ণ দীক্ষিত [Indoctrinate] করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। শেখ হাসিনা নিজ মুখে বিবিসির সাংবাদিক সিরাজুর রহমানের কাছে স্বীকার করেছিলেন যে কেবল প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই তিনি রাজনীতিতে এসেছিলেন। শেখ হাসিনার প্রতিশোধ গ্রহণের তীব্র আকাংখা অবশ্য শুধু সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেই ছিল না। কারা ছিল শেখ হাসিনার উদগ্র প্রতিশোধ গ্রহণের তালিকায়?
এক নম্বরে সেনাবাহিনীর যে সকল অফিসার ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বিদ্রোহে জড়িত ছিলেন। শেখ হাসিনা সেই প্রতিশোধ অত্যন্ত নির্মমভাবেই নিয়েছেন। আওয়ামী আদালত ব্যবহার করে অভিযুক্তদের শুধু ফাঁসিই দেওয়া হয় নাই, তাদের পরিবার পর্যন্ত নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। দুই নম্বরে আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতৃবৃন্দ যারা শেখ মুজিব নিহত হওয়ার পর কোন প্রতিবাদ করতে সক্ষম হন নাই অথবা করেন নাই। সেই নেতাদের মধ্যে তোফায়েল আহমেদকে জিজ্ঞাসা করলেই জানা যাবে যে শেখ হাসিনা প্রতিশোধ নিয়েছেন কিনা। তিন নম্বরে বাংলাদেশের জনগণ কারণ তারা মুজিব নিহত হওয়ার পর কোন শোক প্রকাশ তো করেই নাই, বরং আনন্দ উল্লাস করে মিষ্টি খেয়েছে। সেদিন দুপুরের মধ্যেই ঢাকার সব মিষ্টির দোকানের মিষ্টি শেষ হয়ে গিয়েছিল। আজকের বাংলাদেশে জনগণের ভোটের অধিকার নাই, প্রতিবাদের অধিকার নাই, কথা বলার অধিকার নাই, এমনকি বিচার পাওয়ারও অধিকার নাই। পাকিস্তানী আমলে এর চেয়ে হাজার গুণ বেশি স্বাধীনতা ভোগ করেছে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তানের ২৪ বছর পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর অধীনে এবং সামরিক আইনের অধীনে বসবাস করেও বাঙালিরা পছন্দমত ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টকে এবং ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগকে একচেটিয়া ভোট দিতে পেরেছিলেন, বিচার বহির্ভূত হত্যা ছিল না, গুম নামক শব্দটিই কেউ শোনে নাই। আজ প্রতিবাদহীন জড় পদার্থে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ। এখন বাংলাদেশের জনগণই বিবেচনা করুক যে শেখ হাসিনা তাদের ওপর চরম প্রতিশোধ নিয়েছেন কিনা। শেখ হাসিনার প্রতিশোধের তালিকার চার নম্বরে ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার শোচনীয় পরাজয় ঘটলে তিনি সেনাবাহিনীকে সরাসরি দোষারোপ করেছিলেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পিতার হত্যাজনিত ঘৃণার সাথে হাসিনার মনে যুক্ত হয়েছিলো জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার হতাশাজনিত ঘৃণা। সেই সময় তৎকালীন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত কৃষ্ণন শ্রীনিবাসন গিয়েছিলেন প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হাসিনার সংগে দেখা করতে। তারিখ ছিল ১৯৯২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সাথে আলোচনায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি তার ঘৃণা এতটাই উগরে দিয়েছিলেন যে, স্বয়ং ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পর্যন্ত বিব্রত বোধ করেছিলেন। শেখ হাসিনা শুধু নির্বাচনে হারার জন্যই সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করে ক্ষান্ত হন নাই, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভারত সমর্থিত ‘শান্তি বাহিনী’র বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্যও উল্টো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নির্জলা মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন। ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তার ঢাকার স্মৃতিকথায় লিখেছেন,
“তিনি [শেখ হাসিনা] আমাকে পরামর্শ দিলেন যাতে ভারত শান্তি বাহিনীর সংগে সহযোগিতার কথা বেমালুম অস্বীকার করে। তিনি আরও দাবি করলেন পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বাহিনীর আক্রমণ আসলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীই ছদ্মবেশে চালাচ্ছে নিজেদের গুরুত্ব ধরে রাখার জন্য। আমি তাকে জিজ্ঞাশা করলাম আন্তর্জাতিক মহলে কে ভারতের এমন দাবি বিশ্বাস করবে”? [দি জামদানী রেভল্যুশন, কৃষ্ণন শ্রীনিবাসন, পৃষ্ঠাঃ ৪১৪]
এটা আমাদেরই সম্মলিত পাপের ফল যে, এমনই এক সেনাবাহিনী, জনগণ এবং বাংলাদেশবিদ্বেষী, ফ্যাসিস্ট মনোভাবাপন্ন বিকারগ্রস্ত ব্যক্তি এক যুগ ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে দোর্দণ্ডপ্রতাপে শাসন চালাচ্ছেন।
তবে, এটা মানতেই হবে যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণের প্রক্রিয়ায় শেখ হাসিনা অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার সাথে কৌশল প্রয়োগ করেছেন। তিনি একদিকে সেনাবাহিনীকে নীতিভ্রষ্ট ও চরিত্রভ্রষ্ট করার পরিকল্পনা করেছেন, অন্যদিকে ভারতীয় গোয়েন্দাদের সেনানিবাসগুলোতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সেই এক এগারো থেকে সেনা কর্মকর্তাদের বেসুমার অর্থ প্রদান এবং অপরিমিত ফুর্তির আয়োজন করে তাদের অন্তর থেকে দেশপ্রেম সমুলে উৎপাটনের ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদের দোসর বাংলাদেশ সরকার। শুধু তাই নয়। বেছে বেছে এমন বিতর্কিত ও অযোগ্য ব্যক্তিদের সেনাপ্রধান থেকে শুরু সেনাবাহিনীর সকল গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে যে প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কবর রচিত হয়েছে। সকল জেনারেলদের দুর্নীতি করবার অবারিত লাইসেন্স দিয়েছে ফ্যাসিস্ট শাসক। ফলে দেশের জনগণ নীতিভ্রষ্ট সেনাবাহিনীর প্রধান শত্রুতে রূপান্তরিত হয়েছে। একসময় জনমনে সেনাবাহিনীর জন্য যে শ্রদ্ধার আসনটি ছিল সেটিকেই চূড়ান্তভাবে কালিমালিপ্ত করতে সক্ষম হয়েছেন শেখ হাসিনা। ফ্যাসিবাদী শাসন দীর্ঘায়িত করবার জন্য সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণভাবে জনবিচ্ছিন্ন করে জনগণের ঘৃণার পাত্রে পরিণত করাটা শেখ হাসিনা এবং ভারতের জন্য অত্যাবশ্যক ছিল। শেখ হাসিনা সেই কাজে পুরোপুরি সফল হয়েছেন এবং এটাই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তার চরম প্রতিশোধ গ্রহণ। সেনাবাহিনীও হয়তো জানে যে, তাদের যে কোন বিপর্যয়ে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ খুশী হন।
শেখ মুজিব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিলুপ্ত করতে চেয়েছিলেন। তার কন্যা সেনাবাহিনীকে বিলুপ্ত না করে বরং পারিবারিক ভৃত্যবাহিনীতে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন। শেখ পরিবারের রামশ্যামদেরও তারকাখচিত সব মেরুদণ্ডহীন জেনারেলরা স্যালুট দিয়ে আজ পাহারাদারের মত আচরণ করে। বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ নিজ মুখে ক্ষমতাসীনদের পদতল লেহনের কথা স্বীকার করেছেন। একজন সৈনিকের জন্য এর চেয়ে অবমাননাকর আর কী হতে পারে?
লেখক: সম্পাদক, আমার দেশ