স্টাফ রিপোর্টার
(১ ঘন্টা আগে) ১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৪৩ অপরাহ্ন
শুধু সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলানের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল, আরও কারও সঙ্গে নয় বলে আদালতের কাছে দাবি করেছেন মডেল মেঘনা আলম। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ী দেওয়ান সমিরকে তার বন্ধু বলা হচ্ছে, এটি সঠিক নয়। তিনি দেওয়ান সমিরকে চেনেন না।’
বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) এ দাবি করেন তিনি।
চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল মেঘনা ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল আলীম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৯ মার্চ রাজধানীর ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় একটি গোপন বৈঠক হয়। সেখানে মেঘনা ও সমিরসহ কয়েক ব্যক্তি অংশ নেন। এতে জনৈক কূটনীতিকের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি ও আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়। এই গোপন বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল প্রতারণা করে অর্থ আদায় করা। তবে মামলার এজাহারে ওই কূটনীতিকের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
আজ মেঘনাকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি আদালতের কাছে দাবি করেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলানের সঙ্গেই তার পরিচয় ছিল। সৌদি রাষ্ট্রদূত তাকে ফোনও করেছিলেন বলে আদালতে দাবি করেন মেঘনা আলম। মেঘনা আলম আদালতে দাবি করেছেন, তিনি দেওয়ান সমিরকে চেনেন না।
দেওয়ান সমির রিমান্ড শুনানিতে আদালতকে বলেন, ‘আমাকে মেঘনা আলমের বয়ফ্রেন্ড বলা হচ্ছে। এটা ভুল তথ্য, তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি সাধারণ একজন মানুষ। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। আমি একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা। আমি মামলার এসব ঘটনার কিছুই জানি না।’
মামলায় মডেল মেঘনাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। অন্যদিকে দেওয়ান সমিরকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেয়া হয়। ঢাকার সিএমএম আদালত এ আদেশ দেন।
গত ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে মেঘনাকে আটক করা হয়। এরপর হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, পরদিন বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) আদালত মেঘনাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন।
অন্যদিকে ভাটারা থানায় করা আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় গত ১১ এপ্রিল ব্যবসায়ী সমিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।