নিজস্ব প্রতিবেদক
বিজ্ঞজনদের মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। এখন বিশ্বব্যাংকসহ দাতাদের কাছে হাত না পেতে দেশ অনেক ক্ষেত্রেই স্বনির্ভর হয়েছে। শ্রীলঙ্কাসহ কয়েকটি দেশকে বাংলাদেশ ঋণ দিয়েছে। শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় দেশব্যাপী দৃশ্যমান উন্নয়নের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত উন্নয়নে দেশ এখন ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করছে। কিন্তু এর সুফল নিয়ে যাচ্ছে জামায়াত এবং যুদ্ধাপরাধী স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ করতে এখন ভুঁইফোড় বহু পন্ডিতের জন্ম হয়েছে। যদিও সাধারণ মানুষ এসব অশুভ শক্তিকে প্রত্যাখ্যান করেছে, এর পরও সরকারকে ঘায়েল করার অপকৌশল হিসেবে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপশক্তি এখন সাইবারযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। আর এ যুদ্ধে সরকারের যেসব মন্ত্রণালয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, তারা কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। ফলে তাদের এই সাইবার যুদ্ধে সরকার ইতিমধ্যে একরকম আত্মসমর্পণ করেছে।
সাইবার সন্ত্রাসীদের বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও। ২৪ অক্টোবর নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিছু লোক বিদেশে অবস্থান করে দেশের সমালোচনা করে এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করে। আমরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে উন্নীত করেছি। এখন তাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিছু লোক আওয়ামী লীগ সরকারকে অবৈধ বলে অভিহিত করছে। আমার প্রশ্ন হলো, কী করে তারা এ শব্দগুলো উচ্চারণ করার সুযোগ পায়! আমরা বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলেছি বলেই তারা এটা বলার সুযোগ পেয়েছে। বিএনপি ও জামায়াতের কাছ থেকে সরকারের সমালোচনাকারীরা মোটা অঙ্কের অর্থ গ্রহণ করে। যদি তারা নীতিমান হয় এবং তাদের কোনো আদর্শ থেকে থাকে, তাহলে তারা আমাদের তৈরি ডিজিটাল সিস্টেমগুলো কেন ব্যবহার করে?”
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সূত্র ধরে বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনুসন্ধানে দেশের বাইরে থাকা এক ডজন শীর্ষ সাইবার সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করা গেছে। তারা হলেন- সুইডেন প্রবাসী ও নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, কানাডা প্রবাসী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর দেলোয়ার হোসেন, যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত ও কোর্ট মার্শালে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে অবসরে যাওয়া সেনা কর্মকর্তা কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান, কানাডা প্রবাসী অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন শহীদ ইসলাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক এপিএস ও বিসিএস ’৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপনে থাকা মোহাম্মদ শামসুল আলম, শিবির ক্যাডার ও কানাডা প্রবাসী নাজমুস সাকিব, কানাডা প্রবাসী কথিত ব্যারিস্টার এম রহমান মাসুম, কানাডা প্রবাসী কথিত সাংবাদিক ও ইউটিউব ফেসবুকভিত্তিক ভুঁইফোড় চ্যানেল নাগরিক টিভির সিইও টিটো রহমান, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ মামলার আসামি হয়ে বিদেশে আত্মগোপন করা সাংবাদিক কনক সারোয়ার, রাজাকারের সন্তান দাবিদার ও চাঁদাবাজির মামলায় আসামি হয়ে বিদেশে আত্মগোপন করা সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন, ধর্ষণ মামলার আসামি হয়ে যুক্তরাজ্যে আত্মগোপন করা প্রতারক সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ফিচার লেখকের ভুয়া পরিচয় দেওয়া কথিত সাংবাদিক হাসিনা আক্তার।
এসব সাইবার অপরাধী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা অপপ্রচার ও গুজব রটিয়ে চলেছে। তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে না পারায় বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) কর্মকান্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাই কোর্ট। সম্প্রতি এক রিট আবেদনের শুনানিতে হাই কোর্ট বলেছে, ‘বিটিআরসি কী করে? একই বিষয়ে কি বিটিআরসিকে প্রতিনিয়ত নির্দেশনা দিতে হবে? মনে হচ্ছে বিটিআরসি এ ধরনের ভিডিও ও ছবি দেখে আনন্দ পায়। তাদের ভালো লাগে, তারা এগুলো উপভোগ করে। আমরা সন্তান-সন্ততি, পরিবার নিয়ে থাকি না? তারা চাইলেই ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
বিদেশের মাটিতে বসে বাংলাদেশ, সরকার, বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর পরিবারকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রমাণ পেয়েছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। এরই মধ্যে ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও চূড়ান্ত হয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা মনে করেন, এ চক্রের পেছনে আছে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসররা। আর টাকা ঢালছে বাংলাদেশবিরোধী শক্তি। এই এক ডজন শীর্ষ সাইবার সন্ত্রাসীর মিথ্যা প্রচারণা থেকে জাতিকে সাবধান থাকতে হবে।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউব বা ফেসবুক ব্যবহার করে আমাদের দেশের কিছু লোক দেশ-বিদেশে বসে শুধু নিজেদের স্বার্থে নানা ধরনের অপ্রচার ও গুজব চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের সন্তান ও বংশধর, বরখাস্ত কিছু সেনা কর্মকর্তা, পলাতক বিএনপি নেতা, কিছু পলাতক সাংবাদিক লন্ডন, আমেরিকা, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বসে দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা, দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার উদ্দেশ্যে অপপ্রচারমূলক ভিডিও প্রচার করছে। এ ভিডিওই নাকি তাদের আয়ের অন্যতম উৎস। এর থেকে অর্থ আয়ের পাশাপাশি তারা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির কাছ থেকেও বড় অঙ্কের অর্থ নিচ্ছে। তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে আয় করছে অথচ আমরা তাদের কিছুই করতে পারছি না। শুধু তা-ই নয়, অপপ্রচারমূলক কনটেন্টগুলো আমরা সরাতেও পারছি না। আমাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সরকারি আমলারা যেন হাত-পা গুটিয়ে বসে আছেন। তাদের এ আচরণ নৈরাশ্যজনক।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিনাত হুদা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে কিছু লোক ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ খুলে নানা ধরনের ভিডিও প্রচার করছেন। এসবের অধিকাংশই অপপ্রচারমূলক। সমাজে ও রাষ্ট্রে এর একটা বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে। এসব ভিডিও-অডিও প্রচার বন্ধ না করা গেলে সামাজিক অবক্ষয় আগের তুলনায় আরও বাড়তে পারে এবং দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।’ জিনাত হুদা বলেন, ‘রাজনৈতিক সরকারের বিরুদ্ধে যে কেউ যে কোনো ধরনের সমালোচনা করতে পারে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে কেউ যদি সমালোচনার স্থলে মিথ্যাচার করে, গুজব ছড়ায়, অপপ্রচার করে সেখানেই সমস্যা। দেখা যাচ্ছে এসব ব্যক্তি নিজ নামে চ্যানেল বা পেজ খুলে সরকার ও সরকারি দল এবং ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে নানা ধরনের কুৎসা ও গুজব রটাচ্ছে। যারা রটাচ্ছে তারা সবাই বাংলাদেশি। কখনো কখনো মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও মিথ্যাচার করে। কিছু ভিডিওতে তো দেখা গেছে একজন নিজেকে রাজাকার বা রাজাকারের সন্তান হিসেবে দাবি করেছেন। এ ধরনের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা আমরা দেখতে পাইনি। ফলে এর মাধ্যমে কিন্তু সমাজে একটা বার্তা যায় যে, আপনি যা খুশি তা-ই বলতে পারবেন, যা খুশি তা-ই করতে পারবেন, আপনার কিছুই হবে না! প্রকৃতপক্ষে এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সামগ্রিকভাবে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরগুলোকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বিশিষ্ট অপরাধবিজ্ঞানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, ‘রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণেœর উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য, ভুয়া ছবি দিয়ে অডিও-ভিডিও তৈরি করে ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে এসব চক্র আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিতে না পারলে ইন্টারন্যাশনাল ফোরামে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করা দরকার। গ্লোবাল মুভমেন্ট ডেভলপ করতে হবে। যদিও এসব গুজব ও অপপ্রচারের স্থায়িত্ব বেশি দিন থাকে না। সচেতনভাবে মানুষ এসব এড়িয়ে চললে স্বাভাবিকভাবে এগুলো এমনিতেই চলে যাবে। কিন্তু দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে আমরা বসে থাকতে পারি না। আমাদের উচিত তাদের আইনের আওতায় আনা। নিজস্ব আইনে তাদের বিরুদ্ধ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া না গেলে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন রাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউন্টার মেজার বা কাউন্টার অ্যাটাক তৈরি করতে হবে।’
তাসনিম খলিল
দেশে ও বিদেশে অবস্থান করে তাসনিম খলিল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে রাষ্ট্র, সরকার ও সেনবাহিনী নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কয়েকটি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তাদের ব্যক্তিগত ই-মেইলে ও মোবাইলে দেশবিরোধী তথ্য পাচার করেন।
তাসনিম খলিল বাংলাদেশবিরোধী শক্তি ডেভিড বার্গম্যানের দোসর। আলজাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ ষড়যন্ত্রের নেপথ্য কুশীলব এই তাসনিম খলিল। যদিও অল্প কদিনের মধ্যে তাদের ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে, তবু তাসনিমরা থেমে নেই। নানা কৌশলে সাইবার দুনিয়ায় বাংলাদেশবিরোধী চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছেন খলনায়ক খলিল। তাসনিম খলিল ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এখন জামায়াতের অর্থায়নে আওয়ামী লীগবিরোধী এজেন্সি খুলেছেন। তিনি সিলেটে জামায়াতের বড় অর্থদাতা। ‘নেত্র নিউজ’ নামে তার প্রতিষ্ঠানের রোজকার কাজ বঙ্গবন্ধু পরিবার, রাষ্ট্র ও দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার।
মেজর দেলোয়ার হোসেন (অব.)
মেজর দেলোয়ার হোসেন ১৯৮৯ সালের ২৩ জুলাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ২০তম বিএমএ লং কোর্সে কমিশন লাভ করেন। তার বাবা মৃত মোশারক হোসেন এবং মা মরহুমা মোছা. মজিদা বেগম। ১৮৬/৪ তেজকুনীপাড়া, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫-এর বাসিন্দা দেলোয়ারের বর্তমান ঠিকানা অনটানো, টরন্টো, কানাডা। তার শ্বশুর মেজর জেনারেল সাদিকুর রহমান চৌধুরীকে সেনাবাহিনী থেকে অকালীন বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়।
মেজর দেলোয়ার হোসেন ২০০০ সালের ১৪ মার্চ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি মহাখালী ডিওএইচএসে ডেলটিক লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার শ্বশুর মেজর জেনারেল সাদেকুর রহমান চৌধুরী টিকিউএ ৯৩ সাঁজোয়া ব্রিগেডের কমান্ডার থাকাকালীন ১৯৭৬ সালে ২২ ইস্ট বেঙ্গল কর্তৃক বিদ্রোহের সময় নেতৃত্বে ব্যর্থতার জন্য তদন্ত আদালত তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে। কিন্তু তিনি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১ ইস্ট বেঙ্গলে একত্রে চাকরি করার সুবাদে চাকরিতে বহাল থাকেন। জিয়া সরকারের আমলে ৩০ আগস্ট ১৯৭৮ থেকে ২৬ মার্চ ১৯৮২ পর্যন্ত এসএমপির দায়িত্ব পালন করেন সাদেকুর। তিনি এরশাদ সরকারের সময় পিএসও, সুপ্রিম কমান্ডার সদর দফতর এবং ডিজি বিডিআর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মেজর দেলোয়ার হোসেন (অব.) কানাডায় অবস্থান করে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করে থাকেন। ‘ভারত কোনো দিন কথা রাখেনি, রাখবেও না। এসব বক্তব্য নির্বাচনের আগে হাসিনার একটি নাটক’ বলে ফেসবুক পেজে একটি মতামত দেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে পুলিশের নতুন ইউনিট অনুমোদন দেওয়ায় বাংলাদেশে অপরাধের আরেকটি শাখা সংযোজিত হলো। এর ভোগান্তি শুধু সাধারণ মানুষ ভুগবে- এই মর্মে ফেসবুকে আরেকটি মতামত দেন। ‘স্বাধীনতা তুমি রিমিক্স এবং অন্য আরেকটি কবিতার মাধ্যমে ফেসবুক পেজে বিভিন্ন ধরনের কটূক্তি করেন। সম্প্রতি পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর সিনহা (অব.) হত্যাকে কেন্দ্র করে দেলোয়ার তার ফেসবুক পেজে সেনাবাহিনীসহ সরকার সম্পর্কে বিভিন্ন উসকানিমূলক পোস্ট করেন।
এ ছাড়া দেলোয়ার সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সামরিক পোশাক পরিহিত ছবি এবং সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট রাজনীতিবিদকে উদ্দেশ করে সেনাবাহিনী ও সরকারবিরোধী নেতিবাচক পোস্ট শেয়ার করেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ১০ আগস্ট ২০২০ তারিখে সেনানিবাস এবং সেনানিবাসের আওতাভুক্ত এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
রাজনৈতিক ও সামাজিক উসকানি এবং বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার বেশ কয়েটি আইডি ডিঅ্যাক্টিভ করে দিয়েছে।
কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান
জানা গেছে, লে. কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. শহীদ উদ্দিন খান, পদাতিক ১০ জুন ১৯৮৩ তারিখে অষ্টম বিএমএ লং কোর্সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তার বাবা মৃত মো. মোজাফফর আলী খান এবং মায়ের নাম সেতারা বেগম। তার বাবা জীবদ্দশায় রেলওয়ের সহকারী ট্রাফিক অফিসার ছিলেন। শহীদ উদ্দিন খানের স্থায়ী ঠিকানা ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার চায়না রোডের সজল ভিলায়। বর্তমান ঠিকানা : ফ্ল্যাট ২/এ, বাড়ি ১৮৪, রোড ০২, বারিধারা ডিওএইচএস, ঢাকা সেনানিবাস। ১৯৬৪ সালের ৩ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া লে. কর্নেল শহীদ উদ্দিন খানের শ্বশুর কাজী মশিউর রহমান জীবদ্দশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তার শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লার কাপ্তানবাজার এলাকায়। ২০১০ সালের ৩০ মার্চ অবসরে যান শহীদ উদ্দিন। অবসর-পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালে উচ্চশিক্ষার অংশ হিসেবে সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নেন তিনি। এ সময় তিনি উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া শহীদ উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহার করে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকলাপকে প্রভাবিত করা ও স্বাভাবিক সরকারি দায়িত্ব পালনে ব্যাঘাত ঘটানোর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। তিনি প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকরি সদস্যদের বদলি, শাস্তি, চাকরি প্রদান, পদোন্নতি ইত্যাদি বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করতেন। বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে নিয়ে মনগড়া ও নেতিবাচক মন্তব্য করতেন। এসব কারণে ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সেনাসদর, পিএস পরিদফতরের মাধ্যমে তাকে অবাঞ্ছিত (পিএনজি) করা হয়।
সেনাবাহিনীতে থাকাকালে ১৭ ইস্ট বেঙ্গলের অধিনায়ক হিসেবে ১৯ জুলাই ২০০১ থেকে ২৪ জানুয়ারি ২০০২ তারিখ পর্যন্ত কর্মরত থাকাকালীন অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপির পক্ষে প্রভাবিত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। নির্বাচনের আগে তিনি সেনা নিয়মকানুন ভঙ্গ করে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। তৎকালীন সময়ে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দীন, তৎকালীন চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন-অর-রশিদ এবং তার স্ত্রী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপি নেতা সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়াসহ বিএনপি ঘরানার বিভিন্ন নেতা ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির সঙ্গে তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগাযোগ রাখেন।
শহীদ উদ্দিন খান সুইডেন প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক তাসনিম খলিলের কাছে একটি সাক্ষাৎকার দেন, যেখান থেকে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থা ও সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক ও মিথ্যা তথ্য তুলে ধরেন।
লে. কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) শহীদ উদ্দিন খান নিয়মিত ইউটিউব ও ফেসবুকে পোস্ট এবং ভিডিও প্রকাশ করেন। যেখানে তিনি সরকার সম্পর্কে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করেন, যা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করেছে। অফিসার থাকার সময় ইউনিটে ছুটি ব্যতীত অনুপস্থিত থাকার অপরাধে জিওসি ৩৩ পদাতিক ডিভিশন কর্তৃক তিন মাসের জ্যেষ্ঠতা হরণ করা হয়। ৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক হিসেবে কর্মরত থাকাকলীন তার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছিল। এ ছাড়া বেশ কিছু অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন করা হয়। ২০০৪ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তারিখ পর্যন্ত বিডিআর সদর দফতর পিলখানা ঢাকায় একটি এফজিসিএম অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে শহীদ উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে ২৮টি অভিযোগ দাখিল করা হয়। ২৮টির মধ্যে ২১ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৫ সালের ৩১ মে কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করা হয়।
সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা ১৯৮৯ সালের ৯ আগস্ট সিলেট রেলস্টেশনে ট্রেনচালকের কলার ধরে অশোভন আচরণ করায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। চলতি বছর ২০ জানুয়রি পুলিশের সিটিটিসির একটি দল তার বাসা থেকে জাল টাকা, অস্ত্র ও গোলাবারুদ, জিহাদি ও জঙ্গি সম্পর্কিত বই উদ্ধার করে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশে আসেন।
ইংল্যান্ডের জাতীয় দৈনিক দ্য সানডে টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্র ব্যবসা ও জঙ্গিবাদ-সংক্রান্ত মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি শহীদ উদ্দিন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ইংল্যান্ডের টোরি পার্টির ফান্ডে ২০ হাজার পাউন্ড অনুদান দিয়েছেন। তার ঢাকার বাসায় অভিযান চালিয়ে জিহাদি বই, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে বাংলাদেশের কাউন্টার টেররিজম পুলিশ। ২০০৯ সাল থেকে ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে বসবাস করছেন তিনি। সেখানে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের বসবাস নিশ্চিত করতে কিনেছেন মাল্টি মিলিয়ন পাউন্ডের ‘গোল্ডেন ভিসা’। বাংলাদেশ পুলিশ বলছে, শহীদ উদ্দিন খানের ঢাকার বাড়িতে তারা বিস্ফোরক, অস্ত্র, আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উগ্রবাদী বইপত্র এবং বাংলাদেশি জাল মুদ্রার সন্ধান পেয়েছে। তারা আরও বলেছে, শহীদ উদ্দিনের নামে ৫৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে। এ বিষয়টিও পুলিশ উদ্্ঘাটন করেছে। এসব অ্যাকাউন্ট অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিষয়টি প্রমাণ করে।
ক্যাপ্টেন শহীদ ইসলাম
ক্যাপ্টেন শহীদ ইসলামের শ্যালক শেখ আতিকুর রহমান বাবু (৫২) বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের বর্তমান সভাপতি। তিনি যশোর-৩ আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদের অনুসারী। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের পদ ব্যবহার করে বাবুর বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।
শহীদ ইসলাম একসময় ডেইলি স্টার পত্রিকায় কাজ করেছেন। ডেইলি স্টারে দায়িত্ব পালনকালে তিনি পত্রিকাটিতে সেনাবাহিনী সম্পর্কিত নেতিবাচক তথ্য প্রকাশ করেন। কানাডায় অবস্থান করে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিভিন্ন নেতিবাচক মতামত/মন্তব্য করে থাকেন। অফিসারদের নিয়ে উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক মন্তব্য করেন। ২০১৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ ফেসবুকে পোস্ট করেন You don’t follow law, so we declare war on you… Sheikh Hasina, you destroyed our motherland, we will destroy you inshallah’.
এ ছাড়া চলতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত সাংবাদিক কনক সরওয়ারের ইউটিউব চ্যানেল কনক সরওয়ার নিউজে ‘প্রাণনাশের হুমকিতে জেনারেল আজিজ : সেনাবাহিনীর প্রথম ব্যাচের অফিসার ক্যাপ্টেন শহীদ ইসলামের বিশ্লেষণ’ শিরোনামে একটি সরকার ও সেনাবাহিনীবিরোধী সাক্ষাৎকারে অংশ নেন। তিনি অনবরত সরকার, সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন ভুঁইফোড় অনলাইন, ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে।
শহীদ ইসলাম মেস ওয়েটারকে লাথি মারার অপরাধে বিএএ সেকশন-৫৫ মোতাবেক ১৯৮০ সালের ৭ আগস্ট যশোর সেনানিবাসে ‘ভর্ৎসনা’ প্রাপ্ত হন।
টিটো রহমান
কথিত এই ভুয়া সাংবাদিক টিটোর প্রধান উদ্দেশ্য দেশকে ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে বহির্বিশ্বে প্রমাণ করা। দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে আগুনসন্ত্রাসের দোসরদের সঙ্গে নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে যাওয়া। এ জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধীদের দোসর হিসেবে প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ২০১৮ সালে সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উসকানি দিয়ে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার মাস্টারমাইন্ড এই টিটো। তার বিরুদ্ধে প্রবাসে বসে ব্ল্যাকমেলিং ও চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তা-ই নয়, সরকারবিরোধী জামায়াত-বিএনপির অর্থ নিয়মিত তার কাছে কানাডায় যায় বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে। টিটো রহমান প্রতিদিনই মেজর দেলোয়ার হোসেন, কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান ও সাবেক ক্যাপ্টেন শহীদ ইসলামকে নিয়ে সরকারবিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছেন।
মোহাম্মদ শামসুল আলম
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস থাকার সময় তিনি নিয়োগ, বদলি বাণিজ্য, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন লোভনীয় ফাইল নানা কৌশলে আটকে অর্থ আদায় করেন। রাতারাতি গাড়ি-বাড়ির মালিক বনে যান। যে ব্যক্তির সংসার চালানো দায় ছিল তিনি এপিএসের দায়িত্ব পেয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে গুলশানের মতো জায়গায় বাড়ির মালিক হন। ৮৬ ব্যাচের ক্যাডার কর্মকর্তা শামসুল আলমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাও করে দুদক। প্রধানমন্ত্রীর এপিএস শামসুল আলমের ভয়ে তটস্থ থাকেন সচিব, যুগ্ম-সচিব, উপসচিব, এমনকি রাজনৈতিক দলের নেতারাও। দুর্নীতির মাধ্যমে পাওয়া অর্থ বিদেশে পাচার করে এখন সেখানে বসে সরকারের বিরুদ্ধে নানা বিষোদগার করছেন শামসুল আলম।
নাজমুস সাকিব
এম রহমান মাসুম
কনক সরওয়ার
সম্প্রতি একজন বিএনপি নেতার কাছ থেকে অর্থ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীপুত্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ভিডিও বানানো নিয়ে অর্থ লেনদেনের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ভিডিও বানানোর খরচের নামে কনককে চাঁদাবাজি করতে দেখা যায়। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর হাই কোর্ট এক আদেশে কনক সরওয়ারের দেশবিরোধী ভিডিও কনটেন্ট ব্লক করার জন্য স্বরাষ্ট্র সচিব ও বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন।
ইলিয়াস হোসেন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষ ও সামাজিক অস্থিরতা ছড়ানোর কারণে সম্প্রতি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার পেজ ব্লক করে দেয়। তিনি নতুন করে পেজ খুলে আবার অপতৎপরতা শুরু করেছেন।
জাওয়াদ নির্ঝর
হাসিনা আক্তার