Site icon The Bangladesh Chronicle

শিক্ষার্থীদের দমিয়ে রাখতেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে : আসিফ নজরুল

Daily Nayadiganta

শিক্ষার্থীদের দমিয়ে রাখতেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে : আসিফ নজরুল – ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গার্মেন্টস খোলা আছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা। চালু রয়েছে গণপরিবহনও। যথারীতি মার্র্কেট, শপিংমল খোলা আছে। অর্থাৎ বন্ধ নেই কোনো কিছুই। সবই খোলা আছে। উৎসব হচ্ছে। বিভিন্ন আয়োজনও হচ্ছে। কিন্তু বন্ধ শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজ। যদিও বলা হয়, শিক্ষা হচ্ছে জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু এই সরকারের কাছে শাসন হচ্ছে জাতির মেরুদণ্ড। তিনি বলেন, শিক্ষার্র্থীদের দমিয়ে রাখতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।

রোববার দুপুরে ‘হল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দাও আন্দোলন’ আয়োজিত ঢাবির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে ড. আসিফ নজরুল আরো বলেন, শাসনের জন্য সরকার সবই করতে পারে। কিন্তু শিক্ষার জন্য করবে না। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীদের দমিয়ে রাখা যাবে। তারা কোনো প্রতিবাদ করতে পারবে না। এটা ছাড়া আর কোনো কারণ দেখি না। আমার মনে হয়, সম্ভব হলে তারা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত বন্ধ রাখবে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

সমাবেশে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবি জানান। এ সময় ঢাবির ফারসি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আরিফ বিল্লাহ বলেন, পৃথিবীতে আর একটি দেশও পাবেন না যেখানে ছাত্ররা ক্লাস করতে চায়। আমাদের দেশের ছাত্ররা এর জন্য সংগ্রাম করছে।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি মার্কেট, শপিংমল, দোকানপাট, গণপরিবহন চলতে পারে তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও অবশ্যই চলতে পারবে। কারণ তাদের চেয়ে শিক্ষার্থীরা আরো বেশি সচেতন। তারা বলেন, সবকিছু খোলা রেখে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কোনো মানেই হয় না। এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আমরা অতি দ্রুত ক্যাম্পাসে ফিরতে চাই। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ, সেশনজট না বাড়িয়ে অবিলম্বে ক্লাসে ফেরার ব্যবস্থা করুন।

Exit mobile version