Site icon The Bangladesh Chronicle

শাহিনের সাথে আফ্রিদির মেয়ের বিয়ে, তারকাদের শুভেচ্ছায় সিক্ত নবদম্পতি (ভিডিও)

করাচির কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নবদম্পতির বিয়ে পড়ান সেখানকার বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আব্দুস সাত্তার – ছবি : সংগৃহীত

জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন পাকিস্তানের জাতীয় দলের অন্যতম সেরা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। দেশটির সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেটার শাহিদ খান আফ্রিদির মেয়ে আনশা আফ্রিদিকে বিয়ে করেছেন তিনি।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) করাচিতে নিজেদের আত্মীয়-স্বজন ও পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন তারকা খেলোয়াড়ের উপস্থিতিতে শাহিন-আনশার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। করাচির কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নবদম্পতির বিয়ে পড়ান সেখানকার বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আব্দুস সাত্তার।

এরই মধ্যে তাদের বিয়ে সংক্রান্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে- শাহিন শাহ আফ্রিদি বিয়ের মজলিসে সাদা শেরওয়ানি পরিহিত এবং পাশে স্বজনেরা অবস্থান করছেন।

করাচির ডিফেন্স এলাকার গলফ ক্লাবে অনুষ্ঠিত বিয়ের অনুষ্ঠানে শাহিন আফ্রিদির অধিনায়ক বাবর আজম, সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ, সতীর্থ শাদাব খান ও নাসিম শাহসহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় উপস্থিত ছিলেন।

আজকের দিনটি তাদের বিয়ের জন্য আগে থেকেই ধার্য ছিল। তারপরও বিয়ের বিষয়ে শাহিন কিংবা আনশা- কারোর পরিবার থেকেই কোনো কিছু বলা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে- বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা এখন হলেও আফ্রিদি তার মেয়েকে এখনই বিদায় দিচ্ছেন না।

এই বিয়েতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ড. আরিফ আলভি ও জাতীয় ক্রিকেট দলের পাশাপাশি লাহোর কালান্দার্সের পক্ষ থেকেও শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।

আরিফ আলভি শুভেচ্ছাবার্তায় বলেন, ‘শহিদ আফ্রিদির মেয়ে আনশা আফ্রিদির সাথে শাহিন আফ্রিদির বিয়েতে শুভেচ্ছা। আপনাদের দাম্পত্য জীবন সুখময় হোক।’

উইকেট কিপার ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান এক ভিডিওবার্তায় নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, ‘আপনাদের বিয়ে বরকতময় হোক। আল্লাহর কাছে দোয়া করছি- এই দম্পতির বরকতের অসিলায় দুনিয়ার সব দম্পতিকে তিনি সুখী করেন।’

ওপেনার ইমামুল হক লিখেছেন, ‘আমার ভাই শাহিন আফ্রিদির জন্য খুব খুশি এবং শহিদ আফ্রিদির জন্যও শুভ কামনা। কেননা, তার মেয়ের শুভবিবাহ।’

উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চে শাহিন আফ্রিদি ও আনশা আফ্রিদির বাগদান সম্পন্ন হয়। আনশা শহিদ আফ্রিদির দ্বিতীয় মেয়ে। তার বড় মেয়ের নাম আকসা আফ্রিদি। গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে নাসির নাসের খান নামে এক পাকিস্তানি যুবকের সাথে তার বিয়ে হয়। ওই বিয়েতে মোহরে ফাতেমি হিসেবে দেনমোহর ধার্য করা হয়েছিল।

সূত্র : ডন

Exit mobile version