মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মধ্য দিয়ে সবসময় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন জয়ী হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জনগণ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা সবাই এ দেশের সব রাজনৈতিক দল এক হয়েছি। একটা দফার মধ্যে এসেছি যে এই রেজিমের (সরকার) পদত্যাগ। আমরা স্বচ্ছ, অবাধ নির্বাচন চাই বলে নির্বাচনকালীন সময়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার চাই। আমি মনে করি, আমরা আজকে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আমাদের দাবি অর্জন করতে পারব।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা যে সময়টা অতিক্রম করছি এই সময়টা জাতির জন্য সবচেয়ে সংকটময় একটি সময়। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি আজ অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় এ শাসকগোষ্ঠীর চরম প্রতিহিংসার কারণে বিনা চিকিৎসায় মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত অবস্থায় রাখা হয়েছে। আমাদের প্রায় ৭০০ তরুণ, যুবক; তার মধ্যে তিনজন সংসদ সদস্য ছিলেন তাদের গুম করা হয়েছে। প্রায় ৪৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা চলছে। আমাদের অনেককে নির্বাচনের আগে সাজা দিয়ে তারা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একটাই কারণ, যেন বিরোধী দল নির্বাচনে না আসতে পারে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কৌশলগতভাবে কাতারবদ্ধ হওয়ার অঙ্গীকারের পাশাপাশি লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম ও রাজনীতি নির্বিশেষে সব বাংলাদেশীর স্বাধীনতা, সমতা, সমৃদ্ধি ও ক্ষমতায়নের জন্য দেশীয় উদ্যোগ বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। বিএনপি জাতীয় স্বার্থ সম্মুন্নত রেখে একটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে নিবেদিত।’
বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে সেমিনার সঞ্চালনা করেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। বক্তব্য রাখেন শাহজাহান ওমর, তাবিথ আউয়াল, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সাহেদুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।