Site icon The Bangladesh Chronicle

শহীদ জিয়াউর রহমান কোনো হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন না : মির্জা ফখরুল

শহীদ জিয়াউর রহমান কোনো হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন না : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর – সংগৃহীত

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এবং তিনি কোনো প্রকার হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন না। এই বিষয়টি ধ্রুবতারার মতো স্পষ্ট। আওয়ামী লীগ দীর্ঘকাল ধরে এই ইতিহাসটি বিকৃত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সাথে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন- আওয়ামী লীগের এমন বক্তব্যের জবাবে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি একথা জানান।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্রের প্রতীক বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক দল আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে শপথ নিয়েছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে আরো বেগবান করার লক্ষে জাতীয়তাবাদী শক্তি নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।

চামড়ার বাজার নিয়ে বিএনপিকে জড়িয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আসলে তারাতো দেশ চালাতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। একটা অনির্বাচিত সরকার দেশ চালাতে পারে না। তারা অবৈধ, জনগণের কোনো ম্যান্ডেট তাদের প্রতি নেই। পার্লামেন্ট বলুন আর সরকার বলুন এখানে জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। সুতরাং অর্বাচীনের মতো কথাবার্তা বলা ছাড়া তাদের তো আর কিছু করার নেই।

তিনি বলেন, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। এই অবৈধ সরকার সম্পূর্ণ সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। এখন তারা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার লক্ষে কাজ করছে। তাদের একমাত্র লক্ষ হচ্ছে দেশে একটি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা। তিনি আরো বলেন, সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পূর্ণ বিরাজনীতিকরণ করে তারা এককভাবে এখানে প্রভুত্ব করতে চায়। এটা কখনোই সম্ভব হবে না। এদেশের মানুষ এটা কখনোই মেনে নেবে না। এদেশের মানুষ অতীতে যেভাবে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছে ঠিক সেইভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।

ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে বিএনপির প্রত্যাশা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, আমরা খুব বেশী প্রত্যাশা করছি না। এই আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে ভারতের সম্পর্ক সুউচ্চ পর্যায় আছে, খুব ভালো পর্যায়ে আছে। তারপরও গত ১০ বছরে আমরা তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা পায়নি, সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি, আমাদের পানির যে ঘাটতি রয়েছে তা পূরণ করতে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যেটা হয়েছে ভারতের সমস্যাগুলো সমাধান হয়েছে। সে কারণে আমরা খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছি না।

ভারতের আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের কাছে জমি চাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য রাখছি। জমি দিতে রাজি হওয়ার প্রশ্নই উঠে না, আমার দেশের জমি অন্য কাউকে দেয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না।

বিএনপির কাউন্সিলের বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমাদের সবগুলো জেলা পুনর্গঠনের কাজ চলছে। এগুলো শেষ হলেই আমরা কাউন্সিলের কার্যক্রম শুরু করবো।

খালেদা জিয়ার মুক্তি সরকারের সদিচ্ছার উপর নির্ভর করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা একটা কথা বার বার বলছি এবং প্রকাশ্যে স্পষ্টভাবে বলেছি। আর তা হলো- এই সরকার বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এখানে ন্যায়বিচার আশা করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার। সত্যিকার অর্থে যদি ইন্ডিপেন্ডেন্ট জুডিশিয়াল (স্বাধীন বিচার বিভাগ) থাকতো তবে বেগম জিয়া অনেক আগেই মুক্তি পেতেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূইয়্যা জুয়েল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

Exit mobile version