Site icon The Bangladesh Chronicle

লড়াই আওয়ামী লীগেই তবু সংঘাতের শঙ্কা

লড়াই আওয়ামী লীগেই তবু সংঘাতের শঙ্কাজাতীয় নির্বাচনের পর প্রথম ধাপের উপজেলা ভোট বর্জন করেছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। দলীয় প্রতীকবিহীন এ নির্বাচনে শুরু থেকেই মন্ত্রী-এমপির স্বজনকে প্রার্থী করা নিয়ে আওয়ামী লীগে তালগোল। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যেও হয় বচসা। দলের কড়া নির্দেশনা উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদেই রয়ে গেছেন অন্তত ২৫ স্বজন। তাদের সঙ্গে বেশির ভাগ উপজেলায় দলের একাধিক নেতা প্রার্থী। নিজ বলয়ের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে ভোটের মাঠে উত্তাপ ছড়িয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যরা। কোথাও কোথাও হয়েছে সংঘর্ষ। এতে নেতাকর্মীর মধ্যকার বিভেদে লেগেছে নতুন হাওয়া এবং ভোটের দিনও সংঘাতের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বিরোধী দলগুলোর নির্বাচন বর্জনের প্রচারে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

এমন পরিস্থিতিতে আজ বুধবার ১৩৯ উপজেলায় ভোট। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ ধাপে ১৫২ উপজেলার তপশিল দিলেও পাঁচটির সব ক’টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। উচ্চ আদালতের আদেশসহ নানা কারণে স্থগিত হয়েছে আট উপজেলার ভোট। তবে বাকিগুলোতেও লড়াই হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে। নির্দেশনা অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় অন্তত ৮০ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এর পরও দলটির যেসব নেতা ভোটে আছেন, তারা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেননি ক্ষমতাসীন প্রার্থীর বিরুদ্ধে।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় এক ব্রিফিংয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না। এর পরও বিষয়টিতে কেন্দ্রীয়ভাবে নজরদারি থাকবে এবং প্রভাব বিস্তারের প্রমাণ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাঠের পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সোহরাব উদ্দিন পছন্দের প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে শেষ মুহূর্তেও ভোটারদের চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মকবুল হোসেন। কুষ্টিয়া সদরে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহাদ আল মামুনের ওপর হামলা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামের নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের অভিযোগ উঠেছে। মনোহরগঞ্জে দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিললেও লাকসামে ‘ডামি’ প্রার্থী দাঁড় করানো হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। পাবনার সুজানগরে ভোট কেনার অভিযোগে ব্যাগভর্তি প্রায় ২৪ লাখ টাকাসহ আটক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীনকে ছেড়ে দিয়েছে র‍্যাব। শরীয়তপুর-১ (সদর-জাজিরা) আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা ও কর্মী-সমর্থককে মারধরের অভিযোগ করেছেন সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে কিছুটা শঙ্কার কথা জানিয়েছেন ইসির নীতিনির্ধারকরাও।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার সমকালকে বলেছেন, মন্ত্রী-এমপির প্রভাব সর্বত্র। এ প্রভাবের বাইরে এসে ভোট আয়োজনের দাবি বাস্তবসম্মত নয়। আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নির্দেশ না থাকলে পরিস্থিতি আরও নাজুক হতো। ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ততা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ইসি নির্বাচন ব্যবস্থাকে মানুষের আস্থার জায়গায় নিতে ব্যর্থ হয়েছে। মানুষ কেন্দ্রে গেলে ভোট দিতে পারবে এবং তাদের ভোটে জয়-পরাজয় নিশ্চিত হবে, তা আর বিশ্বাস করে না।

নোয়াখালীর হাতিয়া, মুন্সীগঞ্জ সদর, বাগেরহাট সদর, ফেনীর পরশুরাম ও মাদারীপুরের শিবচরে সব পদের প্রার্থীরা বিনা ভোটে বিজয়ী হওয়ায় ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না। উচ্চ আদালতের আদেশসহ বিভিন্ন কারণে আট উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে ইসি। আচরণবিধি লঙ্ঘনের সত্যতা পেয়ে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিল করে ইসি। তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করায় গতকাল বিকেলে ওই উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়।

ইসি সচিবালয় জানায়, নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। ভোট সুষ্ঠু করতে ১৩৯ উপজেলায় ৮২ হাজার ৭৩৩ পুলিশ সদস্য মোতায়েন ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ১২ হাজার ৭৮০ বিজিবি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। রিজার্ভ থাকবে ১ হাজার ৮৩০ জন। ভোটকেন্দ্র এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ আনসার সদস্যের পাশাপাশি প্রায় আড়াই হাজার র‌্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবেন। সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ বা ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্বে থাকবেন। বিশেষ এলাকায় (পার্বত্য ও দুর্গম এলাকা) সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ বা ২১ জন মোতায়েন থাকবেন। উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও কেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলীয় এলাকার দ্বীপাঞ্চলে কোস্টগার্ড মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

প্রথম ধাপে মোট ১ হাজার ৬৪৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৬২, ভাইস চেয়ারম্যান ৬১৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ৪৩০ জন। ২২ উপজেলায় ইভিএম ও বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে। এ ধাপে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১০ হাজার ৪৯১, ভোটকক্ষ ৭৪ হাজার ২৬৩ এবং অস্থায়ী ভোটকক্ষ ৭ হাজার ৮৬৪টি। মোট ভোটার সংখ্যা ২ কোটি ৮৫ লাখ ৮ হাজার ৯৪০। এর মধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৪৩ লাখ ৮৫ হাজার ২৬১; নারী ১ কোটি ৪০ লাখ ২৩ হাজার ৪৯৮ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৭০ জন। গতকাল রাত ১২টা থেকে আজ বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মোটরসাইকেল বন্ধ থাকবে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত।

‘নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হচ্ছে’

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ব্রিফিংয়ে সিইসি বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার বিষয়ে কমিশন বেকায়দায় নেই। বরং এখানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা স্পষ্ট হয়েছে। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার না করতে মন্ত্রীদের নিবৃত্ত করতে পেরেছে আওয়ামী লীগ। তবে এখনও এলাকায় অনেকে আছেন। কেউ যাতে প্রভাব বিস্তার না করেন, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনেক রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে না– এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাবিবুল আউয়াল বলেন, এবার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না। কে কোন দল করেন, কে কোন দলের প্রার্থী– নির্বাচন কমিশন তা দেখে না। কে নির্বাচনে এলো, কে এলো না– তাও দেখা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নয়। এবার প্রতিটি উপজেলায় গড়ে চার প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হচ্ছে।
৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের পার্থক্য দেখেন কিনা– এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, একটি জাতীয়, আরেকটি উপজেলা নির্বাচন– এটিই পার্থক্য। তবে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিযোগিতা বেশি; উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং উত্তেজনাও বেশি। এ উত্তেজনা যাতে সহিংসতায় রূপ না নেয়, নির্বাচন কমিশন সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে।

পাবনায় টাকা বিলির সময় প্রার্থী আটক

ভোটারদের মধ্যে টাকা বিলানোর সময় সোমবার রাতে ১১ সহযোগীসহ পাবনার সুজানগর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহীনকে আটক করা হয়েছে। র‍্যাব-১২ পাবনার কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, শাহীনের কাছ থেকে দুই ব্যাগে থাকা প্রায় ২৪ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এ টাকা নির্বাচন প্রভাবিত করার কাজে ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছেন। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান শাহীন ও তাঁর সহযোগীরা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এখানে তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব।

সিরাজগঞ্জে ভোটকর্তাদের সঙ্গে প্রার্থীর গোপন বৈঠক

সিরাজগঞ্জ সদরে প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিনের গোপন বৈঠকের ঘটনায় সোমবার রাতে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। গতকাল মঙ্গলবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আদালতের মাধ্যমে পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। ডিবির ওসি জুলহাচ উদ্দিন জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিষয়টি তারা তদন্ত করছেন। নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।
রিয়াজ উদ্দিন বলেছেন, শুরু থেকে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে গোপন বৈঠকের অপরাধ চাপানো হয়েছে। বাস্তবে এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

কুড়িগ্রামে প্রচারে সরকারি কর্মচারী
কুড়িগ্রামের উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য সহকারী আব্দুল ওহাব ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাঈদ সরকারের পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচার চালাচ্ছেন। সরকারি দায়িত্ব পালন না করে তিনি বাড়ি বাড়ি টিয়াপাখি প্রতীকের লিফলেট বিতরণ করেন। ভাইস চেয়ারম্যানে পদে আবু সাঈদের প্রতিদ্বন্দ্বী আজাহার আলী সরকার রাজা (টিউবওয়েল) স্বাস্থ্য সহকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

ময়মনসিংহে সংঘাতের শঙ্কা

ময়মনসিংহের ফুলপুরে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন পাঁচজন। এর মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান স্থানীয় এমপি শরীফ আহমেদের স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত। ফুলপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাসেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে হাবিবের। দু’জনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘাতের শঙ্কা করছেন ভোটাররা।
হালুয়াঘাটে স্থানীয় এমপি মাহমুদুল হক সায়েম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন এবং ধোবাউড়ায় এমপির পছন্দের প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ডা. আসাদুজ্জামান আকন্দ সাগর। দুই উপজেলাতেই এমপির পছন্দের প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ায় উত্তেজনা রয়েছে। তবে এখানে নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য বিএনপির আবদুল হামিদের। ধোবাউড়ায় যুবলীগের আহ্বায়ক ডা. সাগরকে সমর্থন দিয়েছেন স্থানীয় এমপি মাহমুদুল হক। সেখানে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডেভিড রানা চিসিমও শক্ত অবস্থানে। এ ছাড়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিম মৃধার ছোট ভাই ও উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি মজনু মৃধা থাকায় ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে।

নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় এমপি মোস্তাক আহমেদ রুহী দু’জন প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কলমাকান্দায় ইতোমধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কলমাকান্দায় এমপি রুহীর চাচাতো ভাই মোস্তাফিজুর রহমান চয়ন প্রার্থী হলেও তাঁর বিপক্ষে পছন্দের প্রার্থী দিয়েছেন এমপি। এমপির ছেলে ও তাঁর লোকজন নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ বাবুলের পক্ষে কাজ করছেন। ভোটের দিনও এ উপজেলায় উত্তেজনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 সমকাল

Exit mobile version