ছড়িয়ে পড়া ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, ভোটকক্ষে বসে এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে অনবরত নৌকা প্রতীকে সিল মারছেন। তাঁর গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলছে। এ সময় ৪৩টি ব্যালটে নৌকা প্রতীকে তাঁকে সিল মারতে দেখা যায়। তাঁকে নৌকায় সিল মারতে সহযোগিতা করছেন কক্ষে থাকা অন্য একজন ব্যক্তি।
এ বিষয়ে আজাদ হোসেনের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি। চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব প্রথম আলোকে বলেন, আজাদ তাঁদের কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগ তাঁকে গত ৮ অক্টোবর বহিষ্কার করে। তিনি এখন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। ভিডিওটি তিনিও দেখেছেন বলে জানান।
প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারার কোনো ভিডিও প্রথমে নজরে আসেনি বলে দাবি করেন উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন। পরে সন্ধ্যায় মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। জেলা প্রশাসনও ভিডিওটি আমাকে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
জাকের পার্টির প্রার্থী সামছুল করিম খোকন প্রথম আলোকে বলেন, ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে নির্বাচনে কারচুপির বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা নির্লজ্জভাবে নির্বাচনে জিততে সব ধরনের অনিয়ম করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল মারা যান। ৩ অক্টোবর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ৪ অক্টোবর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। গতকাল ওই আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম আলো