Site icon The Bangladesh Chronicle

‘রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে আরো দেশের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন’

রোহিঙ্গা, মিয়ানমার, অং সান সুচি

নয়া দিগন্ত অনলাইন

– ছবি : সংগৃহীত


রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সহায়তা প্রদান করার জন্য আরো দেশকে সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। এ জন্য আরো দেশকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই মানবিক সঙ্কট সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ কানাডা যৌথভাবে ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ : আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা প্রভাব’ শীর্ষক ওয়েবিনারটির আয়োজন করে।

বিআইআইএসএস মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো: এমদাদ-উল-বারী স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।

এমদাদ-উল-বারী বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট মিয়ানমার সৃষ্টি করেছে এবং এর সমাধান অবশ্যই মিয়ানমারকেই খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান করা দরকার। এই মানবিক সঙ্কট সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব।

ডক্টর ইমতিয়াজ বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওপর চাপ বজায় রাখা।

তিনি আরো বলেন, এই সঙ্কটের সমাধানে সহায়তা করার জন্য আরো দেশের এগিয়ে আসা উচিত।

বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের (বিসিবিএস) নির্বাহী পরিচালক ড. কাওসার আহমেদ উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিককালে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল রোহিঙ্গা সঙ্কটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তারপরে, স্বেচ্ছা প্রত্যাবর্তন শুরু করার দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে স্থলসীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক প্রতিরোধ, বাণিজ্য ও পরিবহনসহ প্রায় ১০টি চুক্তি কাঙ্খিত পর্যায়ে বাস্তবায়িত হয়নি।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন, গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যে ১৩ লাখ রোহিঙ্গার নিরাপদ প্রত্যাবাসন গুরুত্বের সাথে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, গণমাধ্যম, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ওয়েবিনারে অংশ নেন এবং মুক্ত আলোচনায় তাদের মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন।

সূত্র : বাসস

Exit mobile version