Site icon The Bangladesh Chronicle

রোজগারের সঙ্গে খরচে ফারাক আকাশপাতাল

রোজগারের সঙ্গে খরচে ফারাক আকাশপাতাল

আয় যেখানে ছিল সেখানেই স্থির, তবে খরচের যেন লম্বা হাত! বাজারে গিয়ে টাকার যোগ-বিয়োগ মেলে না। খাবারের কাটছাঁট করে আর কত? নিত্যপণ্যের দামের পারদ যেভাবে চড়ে আছে, তা বইতে পারছে না মানুষ। নিত্যপণ্যের পাশাপাশি খরচা বেড়েছে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ অন্য সব খাতে। এর প্রমাণ মেলে মূল্যস্ফীতির দিকে চোখ রাখলে। গেল এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখা গেছে এবার। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশে। যদিও মূল্যস্ফীতির এ হার আরও বেশি বলে মনে করেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।

রোজগারে টান পড়লে মধ্যবিত্তের অনেকেই পাতে তোলেন ডাল-ভাত, ডিম কিংবা আলু ভর্তা। ঊর্ধ্বগতির বাজারে এখন এসব পণ্যেরও বেজায় দাম। গেল বছরের এ সময়টায় প্রতি কেজি আলু কেনা গেছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায়, গতকাল সেই আলু কিনতে ক্রেতাকে খরচা করতে হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। বড় দানার মসুর ডালের কেজি ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, এখন কিনতে গেলে লাগছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। এক বছরে ডিমের দাম ডজনে ৫ টাকার মতো বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। আর মাঝারি চালের দাম গত বছরের এ সময়ে কেজি ছিল ৫০ থেকে ৫৪ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।

আওয়ামী লীগ সরকার এবারও তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে জোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল; তবে সরকার গঠনের ছয় মাস পার হলেও নিত্যপণ্যের দামে লাগাম টানা যায়নি। এ পরিস্থিতিতে অনেকেই তাদের কষ্টার্জিত সঞ্চয় ভেঙে সংসারের পেছনে ঢালছেন। কেউ একটি চাকরির সঙ্গে খণ্ডকালীন আরেকটি চাকরিতে ঢুকছেন। আবার কেউ সকাল-বিকেল চাকরি করে সন্ধ্যায় ছোটখাটো ব্যবসা নিয়ে বসছেন।

পণ্যের দাম বৃদ্ধি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, গতিহীন কর্মসংস্থানের চিত্র স্পষ্ট হলেও অদৃশ্য কারণে বাড়ছে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)। হঠাৎ বড় উল্লম্ফন দেখা গেছে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে।

বিবিএসের দাবি, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক জানুয়ারি-মার্চে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ, যা আগের প্রান্তিকের প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি।
তবে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার হয়তো কৌশলে উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়িয়ে দেখাচ্ছে। কম দেখাচ্ছে মূল্যস্ফীতি। তবে দেশের জন্য এ কৌশল মঙ্গলজনক নয়। এসব ভুল নীতির কারণে ধনীরা আরও বড় হচ্ছে। আর দরিদ্র মানুষ হচ্ছে আরও দরিদ্র। সমাজে বাড়ছে দীর্ঘমেয়াদি বৈষম্য। তাতে পুঞ্জীভূত হচ্ছে ক্ষোভ। তাই রাষ্ট্রের উচিত, বৈষম্য দূর করে নিম্ন-মধ্যবিত্তের আয় বাড়ানোর পথ প্রসার ও মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা।

মানুষের আর্থিক কষ্টের মধ্যে বাড়বাড়ন্ত প্রবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, প্রবৃদ্ধির যে চিত্র দেখানো হয়েছে, তা বড়লোকদের প্রবৃদ্ধি, সাধারণ মানুষের নয়। কারণ তাদের আয়রোজগার বাড়েনি। বরং উচ্চ মূল্যস্ফীতি তাদের জীবনকে কষ্টে ফেলেছে।

কেমন দরদাম

খোদ সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজারদরের প্রতিবেদনও বলছে, জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। সংস্থাটির হিসাবেই, এক বছরে চালের দাম সর্বোচ্চ ৫ ও আলুর কেজিতে ৪২ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া মসুর ডাল কেজিতে সর্বোচ্চ ১৩, মুগ ডাল ৫০, ছোলা ৪৪, পেঁয়াজ ১৩৩, রসুন ৪০, আদা ৪১, এলাচ ৭১, হলুদের ৫১ শতাংশ দাম বেড়েছে।

চাল, ডাল, ডিম, আলুসহ বাজারে এখন বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দর বাড়তি। গেল বছরের এ সময় দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। গতকাল ঢাকার শান্তিনগর, মালিবাগ, হাতিরপুল, তেজকুনিপাড়াসহ কয়েকটি বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারে সরু চালের (মিনিকেট-নাজিরশাইল) কেজি ৭০ থেকে ৭৮ টাকা এবং মোটা চালের (স্বর্ণা ও চায়না ইরি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৩ টাকা দরে। গত বছরের এ সময়ে সরু চাল ৬৮ থেকে ৭২ টাকা আর মোটা চাল ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগি গত বছরের এ সময় ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা ছিল, তবে এখন কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায়। রুই মাছের কেজি আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয় গত বছর। গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। কম আয়ের মানুষ সাধারণত তেলাপিয়া, পাঙাশ ও চাষের কই মাছ বেশি কেনেন। মাঝারি আকারের এসব মাছের কেজিও ২৫০ টাকার আশপাশে।

গত বছরের শেষদিকে গরুর মাংসের দামে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল ক্রেতা। তখন রাজধানীসহ বেশ কিছু জায়গায় গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হয়েছিল ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়। তবে গত জানুয়ারিতে নির্বাচনের পরপরই পাল্টে যায় গরুর মাংসের বাজার। কয়েক দফা দাম বেড়ে এখন কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়।

মাছ-মাংসের দামের চোটে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন সবজির বাজারে। সেখানেও নেই স্বস্তি। বরবটি, বেগুন, করলার দাম শুনলেই বাকরুদ্ধ হতে হয়। সবজি তিনটির কেজি শতকের ঘরে। এ ছাড়া অন্য সবজির দামও চড়া। দু-একটি ছাড়া বেশির ভাগ সবজির কেজি ৬০ টাকার ওপরে।

অন্য খাতেও নেই স্বস্তি

নিত্যপণ্যের পাশাপাশি গত বছরের চেয়ে এখন গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির খরচও বেশি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি খুচরায় দাম গড়ে ৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে বেড়ে ৮ টাকা ৯৫ পয়সা করা হয়েছে। এক বছরে বাসাবাড়িতে গ্যাসের দাম না বাড়লেও শিল্প-বাণিজ্যে বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে পানির দামও। এর প্রভাব রয়েছে পণ্যমূল্যে।

এভাবে সংসার খরচ লাগামহীন হলেও বাড়েনি মানুষের রোজগার। চাপ রয়েছে মূল্যস্ফীতিরও। ২০১২-১৩ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ; যা গত এক যুগে হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। শেষ অর্থবছরে (২০২৩-২৪) সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশিমক ৭৩ শতাংশ। এটি এর আগের অর্থবছরের (২০২২-২৩) চেয়ে শূন্য দশিমক ৭১ শতাংশ বেশি। ওই অর্থবছর সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশিমক ০২ শতাংশ। সর্বশেষ গত জুনে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৫৪ শতাংশ। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রকৃত মূল্যস্ফীতি এর চেয়ে অনেক বেশি।

এদিকে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ বাড়লেও বিপরীতে মজুরি বেড়েছে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। তবে বাড়ছে না কর্মসংস্থান। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে গত জানুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার। ২০২৩ সাল শেষে গড় বেকারের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজার।

কম আয়ের মানুষ বিপদে

সবকিছু মিলিয়ে বেশ বিপদেই আছেন নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। রাজধানী শাহীনবাগের বাসিন্দা রাকিব উদ্দিন বেসরকারি চাকরিজীবী। মাস গেলে মাইনে পান ৪২ হাজার টাকা। তিনি জানান, তাঁর বাসা ভাড়া ১৭ হাজার, গ্যাস-বিদ্যুৎসহ অন্য খরচ ৫ হাজার, ছেলের পেছনে খরচ হয় ৬ হাজারের মতো। মাসে বাজার খরচ হয় ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। ফলে কয়েক মাস ধরে তাঁর বেতনে সংসার চলছে না। প্রতি মাসেই ২-৩ হাজার টাকা ধারদেনা করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, গত দুই বছরে ১ টাকাও বেতন বাড়েনি। কবে বাড়বে তারও নিশ্চয়তা নেই। ফলে এভাবে আর কতদিন সংসার চালাতে হবে জানি না।

মধ্যবিত্ত রাকিবের যখন এ হাল, নিম্নবিত্তদের তো আরও বেহাল দশা। পোশাক শ্রমিক মাজেদা আক্তার তেমনই একজন। স্বামী, ছেলে-মেয়েসহ চারজনের সংসার তাঁর। গতকাল কারওয়ান বাজারে সদাই করতে এলে কথা হয় মাজেদার সঙ্গে। তিনি বলেন, এতদিন দুপুরে বিনামূল্যে খাবার দিতেন কারখানার মালিক। জুলাই থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এক বেলা খাওয়ার খরচ বাড়ল। দিনমজুর স্বামী ও নিজের আয় মিলিয়ে যে টাকা রোজগার হয়, তা দিয়েই চলে সংসার। কিন্তু জিসিপত্রের অতিরিক্ত দামে মাছ-মাংস তো দূরের কথা, নিরামিষ খাওয়াও এখন কষ্টের।

তেজগাঁওয়ে বিস্কুট কারখানায় ২৫ হাজার টাকা বেতনে কাজ করেন নাইমুর রহমান। তিনি বলেন, বাসা ভাড়া ও বাজারসদাই করার পর মাসের শেষ দিকে হাত খালি হয়ে যায়। ফলে গত মাসের শেষ সপ্তাহে তাঁকে আলু ভর্তা আর ডাল খেয়েই থাকতে হয়েছে।

কারা কী বলছেন

এ ব্যাপারে কনজুমার্স অ্যাসোসিয়শন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান সমকালকে বলেন, অনেকেই সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন। কেউ কেউ একটা চাকরির পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরি করছেন। আবার কেউ চাকরির সঙ্গে ব্যবসাও করছেন। দরিদ্ররা এভাবে সংসার সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও ধনীদের আয়ের সীমা আরও বাড়ছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের জীবনমানে।

তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে আয় বৈষম্য বাড়তে দেওয়া ঠিক নয়। এতে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়। এ জন্য নিম্ন ও মধ্যবিত্তের আয় বাড়ানোর পথ খুলতে হবে। লাগাম টানতে হবে উচ্চ মূল্যস্ফীতির। যদিও সরকার কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে তা যথেষ্ট নয়।

জিনিসপত্রের দাম বাড়ার আরেকটি কারণ মনে করা হয় চাহিদা ও উৎপাদনের গরমিল তথ্যকে। আলু দিয়েই ধরা যাক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার আলু উৎপাদন হয়েছে এক কোটি এক লাখ টন। তবে হিমাগার মালিকদের দাবি, উৎপাদন হয়েছে ৭০ লাখ টনের মতো। সেই হিসাবে ফারাক ৩০ লাখ টন। দেশে বছরে আলুর চাহিদা ৯০ লাখ টন। তাহলে সরকারি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকার কথা ১০ লাখ টনের। তবে বাজারের চিত্র বলছে উদ্বৃত্ত নয়, বরং ঘাটতি থাকায় দাম বাড়ছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থার তথ্য-উপাত্ত নিয়ে দেশ-বিদেশে অনেকেরই সন্দেহ ছিল, যা সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া রপ্তানি আয়ের তথ্যে প্রমাণিত। আশ্চর্যজনকভাবে অনেক বেশি বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে রপ্তানি আয়। কৃষি খাতের উৎপাদন তথ্য নিয়েও সন্দেহ আছে। বলা হচ্ছে, ৩ কোটি ৬০ বা ৭০ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়েছে। তাহলে এত চাল যায় কোথায়। আলু-পেঁয়াজ এত বেশি উৎপাদন হলে তো আমদানি দরকার হয় না। বাজারে সেগুলোর দামও কম থাকত। প্রতি বছর গরুর উৎপাদন বাড়ছে। তাহলে গরুর মাংসের দাম বাড়ছে কেন?

তথ্যের গরমিলের কারণে সময়মতো নেওয়া যাচ্ছে না আমদানির সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর সমকালকে বলেন, অতি উৎপাদন দেখানো হয়তো সরকারের কৌশল হতে পারে; কিন্তু তা দেশের জন্য ভালো নয়।

তিনি বলেন, উৎপাদন, জিডিপি, মূল্যস্ফীতির মতো বিষয়গুলোর সঠিক তথ্য সরবরাহের জন্য বিবিএসকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে হবে। কোনো মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাখা যাবে না। পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কয়েকটি পরামর্শ দেন আহসান মনসুর। তিনি বলেন, করোনার কারণে বিশ্বের অনেক দেশে ব্যাংক সুদহার বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে তখন নয়ছয় নীতি করে তা আটকে রাখা হয়। আবার ব্যাংকগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার অজুহাতে সরকার টাকা ছাপিয়ে তাদের দিয়েছে। এসব ভুল নীতির কারণে পণ্যমূল্য বাড়ছে, বাড়ছে মূল্যস্ফীতিও।

samakal

Exit mobile version