সংশ্লিষ্টরা জানান, কয়েক বছর ধরে জনশক্তি রপ্তানি বেশ চাঙ্গা। তবে সেই অনুযায়ী রেমিট্যান্স আসছে না।
কেননা, নানা কারণে প্রবাসীদের মধ্যে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে। অন্যদিকে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ আর রেকর্ড কর্মী দেশের বাইরে যাওয়ার পরেও রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি প্রায় ৩ শতাংশ হয়েছে। ডলার ক্রাইসিসের সময় বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই সূচকের প্রবৃদ্ধি দিয়ে চলমান ডলার সংকট সামাল দেয়া কঠিন বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
তারা জানান, ব্যাংকিং চ্যানেলে আশানুরূপভাবে রেমিট্যান্স বাড়াতে না পারা, রপ্তানি আয় সময়মতো দেশে না আনা এবং বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আশানুরূপ পর্যায়ে নিতে পারছে না বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, গত বছরের প্রথম ১১ মাসে (জানুয়ারি-নভেম্বর) বিভিন্ন দেশে গেছেন রেকর্ড ১২ লাখ ১০ হাজার ২৫৬ জনের বেশি কর্মী। শেষ মাসে ১ লাখ গেলেও তা ১৩ লাখ ছাড়িয়েছে। ২০২২ সালে সব মিলিয়ে বিদেশে কর্মী গিয়েছিল ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩ জন। গত বছর কর্মী বেশি গেলেও প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়েনি। এর আগে সর্বোচ্চ ১০ লাখ ৯ হাজার কর্মী বিদেশে কাজের জন্য ২০১৭ সালে। তবে রেমিট্যান্স সবচেয়ে বেড়েছিল করোনার মধ্যে। মূলত তখন হুন্ডি চাহিদা তলানিতে নামায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছিল বেশি। ১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসীর পাঠানো কষ্টার্জিত অর্থ দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করছে। প্রবাসী শ্রমিকের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ হলেও প্রবাসী আয়ে সপ্তম স্থানে।
বিজিএমইএ পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ২০২৩ সালে বিশ্ববাজারে চাহিদা কমে গেছে। মূল্যস্ফীতি, ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া, মুদ্রানীতি এসব কারণে পণ্য কম বিক্রি হয়েছে। এজন্য উন্নত অর্থনীতির দেশগুলো আমদানি কম করেছে। ফলে এ অবস্থায়ও আমরা যে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি তা খারাপ না। আশা করছি ২০২৪-এ চাহিদা বাড়বে এবং রপ্তানিও বাড়বে।
মানব জমিন