Site icon The Bangladesh Chronicle

রিসোর্ট ও আ’লীগ অফিস ভাঙচুর, মহাসড়ক অবরোধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

এপ্রিল ৩, ২০২১
নারায়ণগঞ্জ: হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে তার দ্বিতীয় স্ত্রীসহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় রয়েল রিসোর্ট থেকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছেন তার সমর্থক ও নেতাকর্মীরা।শনিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান নেতাকর্মীরা।

নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে আটকে তাকে ও তার স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করেন। হোটেল কর্তৃপক্ষ হুজুর ও তার স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ড নিয়েই তাকে রুম দিয়েছে। দিনের বেলায় হুজুর প্রকাশ্যেই গেছেন রাতের আঁধারে নয়, তাহলে হোটেল কর্তৃপক্ষ সন্দেহ হলে পুলিশকে কেন জানালো না? কেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা এসে আমাদের হুজুরকে লাঞ্ছিত করলো?

শনিবার বিকেলে মামুনুল হক সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে আসেন। তার সঙ্গে একজন নারী ছিলেন। ওই সময়ে বিষয়টি দেখতে পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ রনিসহ অনুগামীরা উপস্থিত হয়ে রিসোর্টের ৫ম তালার ৫০১ নম্বর কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করে ফেলেন। তারা মামুনুল হকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গিয়ে সেখানে হাজির হন।

মামুনুল হকের দাবি, সঙ্গে থাকা নারীর নাম আমিনা তৈয়্যব, তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। দুই বছর আগে তাকে বিয়ে করেছেন তিনি। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি।

মামুনুল হক বলেন, মাস্তান প্রকৃতির লোকেরা এসে আমাকে আমার ওয়াইফসহ নাজেহাল করেছে। আমাকে আক্রমণ করেছে। আমার বক্তব্য পরিষ্কার, আমরা এখানে একটু রিফ্রেশমেন্টের জন্য এসেছিলাম। এখানে অনেক উচ্ছৃঙ্খল লোক এসেছে। আপনারা দেখেছেন। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানাধীন রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে এক নারীসহ অবস্থান করছেন—এমন খবরে স্থানীয় লোকজন রিসোর্ট ঘেরাও করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। মামুনুল হক পুলিশকে জানিয়েছেন সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। পরে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করেছে।

এদিকে রাত ৭টায় শত শত লোকজন রিসোর্টের সামনে জড়ো হন। সেখানে তারা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। ওই সময়ে মামুনুল হক ও তার স্ত্রী বেরিয়ে আসেন। বিক্ষুব্ধ জনতা তখন রিসোর্ট ভাঙচুর করেন। লোকজন মামুনুল হককে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার আমিনপুর ঈদগাহ ময়দানে যান। সেখানে মামুনুল হক বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত থাকতে বলেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে সবাইকে বাড়ি ফিরতে বলেন। তিনি ওই এলাকা ছেড়ে গেলেও স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২১
এমজেএফ/

Exit mobile version