Site icon The Bangladesh Chronicle

রিজার্ভ আরো কমে ২৩.২৬ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে

bonikbarta.net

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ৩১ জুলাই বিপিএম৬ অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। আর ৯ আগস্ট তা ২৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। সে হিসাবে আগস্টের প্রথম নয়দিনে রিজার্ভে ক্ষয় হয়েছে ৯ কোটি ডলার। আর গত এক বছরে ক্ষয় হয়েছে ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করায় রিজার্ভের পরিমাণ দ্রুত কমছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকগুলোয় এখনো ডলারের সংকট কমেনি। প্রতিদিনই কেনার বিপুল চাহিদা আসছে। কোনো কোনো দিন তা ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকৃত চাহিদা যাচাই করে তবেই ডলার বিক্রি করছে। বাকি ডলার বাজার থেকে কেনার জন্য বলা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূলত জ্বালানি তেল, এলএনজি, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির দায় মেটানোর জন্য ডলার বিক্রি করছে। পাশাপাশি সরকারের বিদেশী ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্যও ডলার বিক্রি করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে রেকর্ড সাড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর চলতি অর্থবছরের এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে।

দুই দশক ধরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ২০১৬ সালের ৩০ জুন রিজার্ভের গ্রস পরিমাণ ছিল ৩০ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার। এরপর ২০১৯ সালের শেষ পর্যন্ত তা অনেকটাই স্থিতিশীল ছিল। ২০২০ সালে কভিড-১৯-এর প্রভাবে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়। দ্রুতগতিতে বেড়ে যায় রিজার্ভের পরিমাণও। ২০২১ সালের আগস্টে তা ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিসংখ্যান নিয়ে অনেক আগে থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে আইএমএফ। সংস্থাটির সুপারিশ ছিল, রিজার্ভের হিসাবায়ন করতে হবে বিপিএম৬ মূলনীতি অনুসরণ করে। এক্ষেত্রে রফতানি উন্নয়ন তহবিলসহ (ইডিএফ) বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা প্রায় সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থেকে বাদ দিতে হবে। আইএমএফের শর্ত মেনেই শেষ পর্যন্ত রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করা হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ৭ বিলিয়ন ডলারের ইডিএফ তহবিল এখন ৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। এ কারণে আইএমএফের শর্ত পূরণ করা কিছুটা সহজ হয়েছে। বিপিএম৬ মূলনীতি অনুযায়ী হিসাবায়নের ক্ষেত্রে রিজার্ভের অর্থে গঠন করা গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ডে (জিটিএফ) ২০ কোটি, লং টার্ম ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলে ৩ কোটি ৮৫ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেয়া ৬৪ কোটি ও বাংলাদেশ বিমানকে দেয়া ৪ কোটি ৮০ লাখ এবং শ্রীলংকাকে ২০ কোটিসহ মোট ৬৪০ কোটি ডলার বাদ দেয়া হয়েছে।

Exit mobile version