গত ৩০ জুনে রিজার্ভের যে তথ্য ছিলো তা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও অন্যান্য সংস্থার ঋণের কারণে বৃদ্ধি পাওয়া রিজার্ভ। জুনের মাসের শেষ দিকে ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করেছে আইএমএফ। একই সময়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং কোরিয়া থেকে প্রায় ৯০ কোটি ডলার এসেছে। এ ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যুক্ত হয়েছিলো। ফলে তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের মোট রিজার্ভের পাশাপাশি প্রকৃত রিজার্ভও কিছুটা বেড়েছিল।
বুধবার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী ২ হাজার ৪৬ কোটি ডলারের ঘরে নেমেছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে রিজার্ভ দেখানো হয় ২ হাজার ১৭৮ কোটি ডলার, যা প্রকৃতপক্ষে ৩০ জুনের।
আকুর বিল পরিশোধের পর অর্থনীতিবিদরা বলেছিলেন, এটিও প্রকৃত রিজার্ভ নয়। গ্রস রিজার্ভ থেকে আইএমএফের পাওনাসহ সব দায় বাদ দিলে নিট রিজার্ভের পরিমাণ আরও নিচে নেমে যাবে।
Bangla Outlook