Site icon The Bangladesh Chronicle

রিজভীর সাথে দেখা করতে না দেয়ার অভিযোগ স্ত্রীর

 আমার দেশ
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও রিজভীর সাথে দেখা করতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি

আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সাথে দেখা করতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী।

মামলার হাজিরার জন্য কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বুধবার (১৫ই ফেব্রুয়ারি) সকালে রিজভীকে ঢাকার সিএমএম কোর্টে আনা হয়। কারাগার থেকে আদালতে আনার পর তাকে হাজতখানায় রাখা হয়। পরে শারীরিক অসুস্থতা ও মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে স্ত্রী আরজুমান আরা বেগম রিজভীর সাথে দেখা করতে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের অনুমতি চান। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করে সাক্ষাতের অনুমতি দেন। রিজভীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলামকেও সাক্ষাতের অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু হাজতখানার ওসি রিজভীর সাথে তার স্ত্রী এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসককে সাক্ষাৎ করতে দেননি। দুই ঘণ্টা কারাগারের হাজতখানায় রাখার পর রিজভীকে সাড়ে ১২টায় কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেয়ার জন্য প্রিজনভ্যানে তোলা হয়।

রুহুল কবির রিজভীর প্যানেল আইনজীবী মশিউর রহমান শান্ত বলেন, রুহুল কবির রিজভী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। যিনি শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ। তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তিনি গত ৮ই ডিসেম্বর থেকে পল্টন থানার মামলায় কারাগারে বন্দী। তার অসুস্থতা ও মামলাজনিত কারণে স্ত্রী আরজুমান আরা বেগম ও চিকিৎসকের সাক্ষাত প্রদান জরুরি। এই বিষয়ে আমরা বিজ্ঞ আদালতের কাছে আবেদন করলে তা মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু হাজতখানার ওসি আদালতের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

রিজভীর স্ত্রী আরজুমান আরা বেগম জানান, শারীরিকভাবে তার স্বামী অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তার শরীর ভালো নেই। উন্নত চিকিৎসা দরকার। আমরা তার নিয়মিত খোঁজ-খবর পাই না। এর আগে গত ২৩শে জানুয়ারী রিজভী কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

তিনি বলেন, আজকে আদালত আমাকে এবং ডা. রফিকুল ইসলামকে রিজভীর সাথে দেখা করার অনুমতি দিলেন। কিন্তু হাজতখানার ওসি সেই আদেশকে তোয়াক্কা করলেন না। আমাদের তিনি দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়েও দেখা করতে দেননি।

উল্লেখ্য, গত ১০ই ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে গত ৭ই ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ওইদিনই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।

সেদিন রুহুল কবির রিজভীকেও আটক করে কারাগারে নেয়া হয়। সম্প্রতি তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তিনি কারাগারে যাওয়ার আগে দলের বিভিন্ন বিষয়ে গণমাধ্যমের সাথে নিয়মিত কথা বলতেন। বিশেষ করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও হামলা-মামলা নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন করতেন রিজভী।

Exit mobile version