Prothom Alo
ঢাকা
সংবিধান ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি পরিবর্তনের বিষয়ে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। সংবিধানের মূলনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সরকার গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশন। এতে একমত নয় বিএনপি। কিন্তু জামায়াত এ বিষয়ে একমত জানিয়েছে। এমনকি দলটি এ বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশে একাত্ম হয়ে আর কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন মনে করেনি।
তবে সংবিধান সংস্কার কমিশন সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ এবং গণতন্ত্র’ অন্তর্ভুক্ত করার যে সুপারিশ করেছে, সেখান থেকে ‘বহুত্ববাদ’ শব্দটি বাদ দিতে বলেছে জামায়াত। ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ এবং গণতন্ত্র’-এর আগে সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ’ কথাগুলো যুক্ত করার মতামত তুলে ধরেছে দলটি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর জামায়াত এ মতামত তুলে ধরেছে। গত ২০ মার্চ দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সংবিধানসহ পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর মতামত জমা দেয়। এর দুই দিন পর ২৩ মার্চ মতামত জমা দেয় বিএনপি। পৃথক মতামতে সংবিধান ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির প্রশ্নে দল দুটির ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান প্রকাশ পায়। যদিও দল দুটি দীর্ঘদিন একই জোটে ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক বৈরিতা ক্রমেই বাড়ছে।
এই অনুচ্ছেদগুলো পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের অবস্থায় নেওয়াকে সমীচীন মনে করে বিএনপি। মূলত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাস করা হয়।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ একটি বহুত্ববাদী, বহুজাতি, বহুধর্মী, বহুভাষী ও বহু সংস্কৃতির দেশ, যেখানে সব সম্প্রদায়ের সহাবস্থান ও যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করা হবে।’ এ বিষয়ে জামায়াত আংশিকভাবে একমত জানিয়ে ‘বহুত্ববাদী’ শব্দটি বাদ দেওয়া এবং ‘জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও নৃ-তাত্ত্বিক পরিচয় নির্বিশেষে বাংলাদেশের নাগরিকগণ যথাযথ মর্যাদা ও অধিকতর ভোগ করবে’—এ কথাগুলো প্রতিস্থাপন করার প্রস্তাব করেছে।
অন্যদিকে এ বিষয়ে বিএনপি দ্বিমত জানিয়ে বলেছে, সংবিধানের ৮, ৯, ১০ ও ১২ অনুচ্ছেদ পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া অধিকতর যুক্তিযুক্ত। সংবিধানের ৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা—এই নীতিসমূহ এবং তৎসহ এই নীতিসমূহ হইতে উদ্ভূত এই ভাগে বর্ণিত অন্য সকল নীতি রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বলিয়া পরিগণিত হইবে।’ অনুচ্ছেদ ৯, ১০, ও ১২-এ জাতীয়তাবাদ, সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
এই অনুচ্ছেদগুলো পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের অবস্থায় নেওয়াকে সমীচীন মনে করে বিএনপি। মূলত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাস করা হয়।
রাষ্ট্রীয় মূলনীতি প্রশ্নে বিএনপির এ অবস্থানকে একেবারেই দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বলে মনে করেন লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, বিএনপি সর্বশেষ যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা যে অবস্থায় সংবিধানকে রেখে গিয়েছিল, সেই অবস্থাতেই ফেরত চাইছে। তারা বাহাত্তরের চার মূলনীতিও চায় না। ১৯৭৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে যেটা হয়েছিল, তারা মূলত সেটা চায়। ১৯৭৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূলনীতি বাদ দিয়েছিলেন। এটা রাজনৈতিকভাবে জামায়াতকে সুবিধা দেয়। এ জন্য ওই চার মূলনীতি জামায়াত বাতিল চায়।
তবে সংস্কার কমিশন সংবিধানের মূলনীতিতে ‘বহুত্ববাদ’-এর যে সুপারিশ করেছে, সেটাকে খুবই ‘প্রাসঙ্গিক’ বলে উল্লেখ করেন মহিউদ্দিন আহমদ। তিনি ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বিষয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে চর্চা এবং এর ধারণাগত দিককে ‘বিভ্রান্তিমূলক’ মনে করেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি থেকে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্র’ অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। তবে তারা সংবিধান সংস্কার কমিশন রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনের যে সুপারিশ করেছে, তাতে আপত্তি জানিয়েছে। পাশাপাশি বহুত্ববাদের সংজ্ঞা সুনির্দিষ্ট করার ওপর জোর দিয়েছে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, নাগরিকতন্ত্র হিসেবে ‘প্রজাতন্ত্র’ এবং ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘নাগরিকতন্ত্র’ এবং ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ ব্যবহৃত হবে। এ বিষয়ে জামায়াত একমত নয়।
সংবিধানের ৭০টি প্রশ্নের ৩১টিতে একমত
ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া স্প্রেডশিটে দেখা যায়, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ৭০টি প্রশ্নের মধ্যে ৩১টিতে জামায়াত একমত। ২৩টি প্রশ্নে তারা একমত নয়। আর ১৬টি প্রশ্নে দলটি আংশিকভাবে একমত হয়েছে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, নাগরিকতন্ত্র হিসেবে ‘প্রজাতন্ত্র’ এবং ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘নাগরিকতন্ত্র’ এবং ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ ব্যবহৃত হবে। এ বিষয়ে জামায়াত একমত নয়।
নাগরিকতন্ত্রে ‘সংবিধানবিষয়ক অপরাধ ও সংবিধান সংশোধনের সীমাবদ্ধতা, অনুচ্ছেদ ৭ক এবং ৭খ বিলুপ্ত’ করার সুপারিশ করেছে কমিশন। এ বিষয়ে জামায়াত অনুচ্ছেদ ৭খ বিলুপ্ত করার সুপারিশে একমত। তবে অনুচ্ছেদ ৭ক বিলুপ্তির সুপারিশের ব্যাপারে জামায়াত ‘যদি কোনো গণবিপ্লব বা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সংবিধানের রদ, রহিত, বাতিল বা স্থগিত করা হয়, অথবা উহার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, তাহলে এটা কোনো অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না’ বিষয়টি সংযুক্ত করার কথা বলেছে।
‘সংসদীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ন্যূনতম বয়স কমিয়ে ২১ বছর করার’ সুপারিশের বিষয়ে জামায়াত একমত জানিয়েছে। তবে আইনসভায় ৪০০ আসনের মধ্যে ৩০০টি আসন উন্মুক্ত এবং ১০০টিতে কেবল নারী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন—এমন সুপারিশের বিষয়ে জামায়াতের দ্বিমত রয়েছে। দলটি বলেছে, ‘আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (পিআর) নির্বাচনব্যবস্থার আওতায় ৩০০টি সাধারণ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০ আসনে সংখ্যাভিত্তিক পিআর পদ্ধতিতে রাজনৈতিক দলসমূহ দ্বারা মনোনীত হবে।’
সংসদে দুজন ডেপুটি স্পিকার, যাঁদের মধ্যে একজন বিরোধী দল থেকে মনোনীত হবেন—এ সুপারিশের বিষয়ে জামায়াত আংশিক একমত। দলটি বলেছে, বিরোধী দলের ডেপুটি স্পিকার সরকারি দলের বাইরে অন্য সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন।
‘একজন সংসদ সদস্য একই সাথে প্রধানমন্ত্রী, সংসদনেতা ও রাজনৈতিক দলের প্রধান—যেকোনো একটির বেশি পদে অধিষ্ঠিত হবেন না’—এই সুপারিশের বিষয়েও দ্বিমত জানিয়েছে জামায়াত। দলটির প্রস্তাব, একজন সংসদ সদস্য যেকোনো দুটির বেশি পদে অধিষ্ঠিত হবেন না।
জামায়াত চায়, প্রস্তাবিত সংসদের উভয় কক্ষের মেয়াদ পাঁচ বছর করা, নিম্নকক্ষের ৩০০টি সাধারণ আসনে সাধারণ নির্বাচন এবং সংরক্ষিত ৫০ আসনে সংখ্যাভিত্তিক পিআর পদ্ধতিতে রাজনৈতিক দলগুলো দ্বারা মনোনীত হবে।
অর্থবিল ব্যতীত নিম্নকক্ষের সদস্যরা তাঁদের মনোনয়নকারী দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা পাবেন; কমিশনের এমন সুপারিশে আংশিক একমত বলে জানিয়েছে জামায়াত। তবে এ ক্ষেত্রে দলটি ‘অর্থবিলের’ সঙ্গে ‘আস্থা ভোট’ যুক্ত করেছে।
এ ছাড়া সংস্কার কমিশন ১০৫ জন সদস্যের সমন্বয়ে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের কথা বলেছে। তার মধ্যে পাঁচজন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত হবেন। জামায়াত উচ্চকক্ষের আসন ১০০ জনে সীমিত রাখার পক্ষে। আর ‘পূর্ণ গণতন্ত্র চর্চার জন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত উচ্চকক্ষের পাঁচটি আসন পূরণের সুযোগ না রাখার’ পক্ষে মত দিয়েছে দলটি।
রাষ্ট্রপতির মেয়াদ চার বছর করা এবং একই ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি পদে সর্বোচ্চ দুবারের বেশি অধিষ্ঠিত হবেন না—সংস্কার কমিশনের এই সুপারিশের ক্ষেত্রে আংশিক একমত জামায়াত। দলটি রাষ্ট্রপতির মেয়াদ পাঁচ বছর চায়।
সংসদে দুজন ডেপুটি স্পিকার, যাঁদের মধ্যে একজন বিরোধী দল থেকে মনোনীত হবেন—এ সুপারিশের বিষয়ে জামায়াত আংশিক একমত। দলটি বলেছে, বিরোধী দলের ডেপুটি স্পিকার সরকারি দলের বাইরে অন্য সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন।
জরুরি অবস্থা ঘোষণা প্রসঙ্গে
জরুরি অবস্থা ঘোষণাসংক্রান্ত সুপারিশে কমিশন বলেছে, কেবল জাতীয় সাংবিধানিক কমিশনের (এনসিসি) সিদ্ধান্তক্রমে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন। জরুরি অবস্থার সময় নাগরিকদের কোনো অধিকার রদ বা স্থগিত করা যাবে না এবং আদালতে যাওয়ার অধিকার বন্ধ বা স্থগিত করা যাবে না। তাই সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪১(খ) ও অনুচ্ছেদ ১৪১(গ) বাতিল হবে।
এই ক্ষেত্রে কেবল ‘এনসিসির সুপারিশক্রমে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন’—এ বিষয়ে জামায়াত একমত।
অবশ্য এই বিষয়ে বিএনপি বলেছে, জরুরি অবস্থা জারির সঙ্গে সরকারের নির্বাহী কর্তৃত্বের বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত বিধায় এ-সংক্রান্ত ক্ষমতা সরকার ও সংসদের বাইরে অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা সংগত নয়। এ ছাড়া নাগরিকদের কোনো অধিকার রদ বা স্থগিত না করে জরুরি অবস্থা জারির সুপারিশ বোধগম্য নয় বলেছে বিএনপি।
আমরা মনে করি, আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস—এটা একটা মৌলিক বিষয়। দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বিস্তারিত আলোচনার ভিত্তিতে সংবিধানের মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছি।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার
‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’
পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ কথাটি ছিল। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে এটি সরিয়ে দেওয়া হয়। জামায়াত এখন ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’—কথাটির সঙ্গে ‘ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার ও গণতন্ত্র’—এ কথাগুলো সংবিধানের মূলনীতিতে সংযুক্ত করার মত দিয়েছে।
এ বিষয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস—এটা একটা মৌলিক বিষয়। দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বিস্তারিত আলোচনার ভিত্তিতে সংবিধানের মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সংবিধানের মূলনীতির পরিবর্তন চাই; এ কারণে যে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যায় না। এর সঙ্গে এই জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস ও নৈতিকতার প্রশ্ন আছে।’
জামায়াতের এই নেতার দাবি, স্বাধিকার আন্দোলনের সময়ও ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের কথা আসেনি। স্বাধীনতার পরে ভারতের প্রভাবে সে দেশের সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র যুক্ত করা হয়।