অন্তর্বর্তী সরকারের রোডম্যাপ, সংস্কার আগে, না নির্বাচন আগে, সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক– এসব বিষয়ে সমকালের সঙ্গে আলাপে বসেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক ওয়াসিফ
সমকাল : প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্রদের দ্বারা নিয়োগকৃত। বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই সরকারের সম্পর্ক বিষয়ে বলুন।
মির্জা ফখরুল: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যারা বসে আছেন, তারা তো স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রদের দ্বারা নিয়োগকৃত। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা একবার মাত্র বসেছেন। তা-ও সেটা সুনির্দিষ্টভাবে ১৫ আগস্টের বিষয়টি নিয়ে। আমরা কিন্তু তখনই তাদের খুব স্পষ্ট করে বলেছিলাম, আপনাদের সামগ্রিকভাবে রাজনৈতিক ইস্যুগুলো নিয়ে বসতে হবে। মূল ইস্যু হচ্ছে যে আপনি কবে ইলেকশন করবেন। এ জন্য আমি কয়েক দিন ধরে তাদের বলেছিলাম একটা রোডম্যাপ দেওয়ার জন্য। আমরা আশা করেছিলাম, যখন তিনি জাতির উদ্দেশে কথা বলবেন, সেখানে যেন তিনি রোডম্যাপটা দেন। কিন্তু সেই রোডম্যাপ আমরা দেখিনি।
সমকাল: প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তার মানে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপের সুযোগ রয়েছে কি?
ফখরুল: রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত তো বটেই। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হলে তো রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকতে হবে, তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাদের সঙ্গে শেয়ার করতে হবে। সরকারকেই উদ্যোগ নিয়ে কাজটা করতে হবে। কারণ, দে আর ইন চার্জ নাউ, দে আর ইন দ্য ড্রাইভিং সিট। আমরা এখনও আশা করি, অতিদ্রুত তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন। কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত নির্বাচন। অবশ্য নির্বাচনের আগেই প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করা দরকার। সেই কাজগুলো তিনি করবেন। তা না হলে আবার ওই ১/১১-এর মতো একটা সমস্যা তৈরি হবে। দেশবাসীর মধ্যে ইতোমধ্যে বিরাজনীতিকীকরণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সমকাল: আপনি কি এই সরকারের মধ্যে ১/১১-এর ছায়া দেখতে পাচ্ছেন?
ফখরুল: ছায়া দেখছি তা বলব না। আমরা আশঙ্কা করছি। যদি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে তেমন একটা আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
সমকাল: কিন্তু এক সপ্তাহ আগেও আপনিই বলেছিলেন, মৌলিক সংস্কার করতে যা লাগে, এই সরকার তেমন সময় নিক।
ফখরুল: মৌলিক কথাটা বোধ হয় আমি ব্যবহার করিনি। প্রয়োজনীয় যেটুকু সংস্কার ‘ফর দ্য ইলেকশনস’, সেটা আমি বলেছি। এবং সেটা আমি এখনও মনে করি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনকে প্রস্তুত এবং একই সঙ্গে অর্থনীতি চালু করার জন্য যে সময়টা দরকার। এসবের জন্য তাদের যেটুকু সংস্কার করা দরকার, সেটুকু তারা করতে পারেন। আমার মনে হয় না, এ জন্য খুব লম্বা সময় লাগতে পারে। এসব করতে খুব বেশি সময় লাগার কথা না। যদি তাদের সদিচ্ছা থাকে, তারা অবশ্যই অল্প সময়ে তা পারবেন। কতগুলো বুনিয়াদি সমস্যা আছে। যেমন– পুলিশ ফোর্সকে নতুন করে সাজাতে হবে। ইলেকশন কমিশনকে নতুন করে সাজাতে হবে, জুডিশিয়ারিতে পরিবর্তন করতে হবে। এগুলোর কোনো বিকল্প নাই। এগুলো না করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সেই কারণেই এই কাজগুলো তাদের করতে হবে। কিন্তু সেটা যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে। তা না হলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে; তা না হলে লোকের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দেবে। নানা রকমের বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। গুজব হবে।
সমকাল: অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যখন অন্তর্বর্তী সরকার আসে তখন ছাত্র-জনতার মধ্য থেকে দুটি ম্যান্ডেটের কথা বলা হয়েছিল। একটা হচ্ছে, এই সরকার রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার করবে, সংবিধানের সংস্কার করবে, প্রশাসনের সংস্কার করবে। মানে মৌলিক সংস্কার করবে। এবং এসবের শেষে একটা নির্বাচন দেবে।
ফখরুল: মৌলিক প্রশ্ন আছে তো যে, এ সংস্কারগুলো কে করবে? মানে করার অধিকারটা কার? আইনি অধিকারটা কার? সেই অধিকার তো নির্বাচিত প্রতিনিধিদের। সুতরাং মৌলিক সংস্কার তাদের দিয়েই করাতে হবে। তার জন্য নির্বাচন লাগবে। আমরা বলছি, নির্বাচনটা করার জন্য যতটুকু সংস্কার করা দরকার ততটুকু করে, বাকি কাজ নতুন পার্লামেন্টের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। সংবিধান পরিবর্তন করবেন, এটার অথরিটি কে? আপনার সেই অথরিটি কোথায়? এটা করার জন্য প্রস্তাবগুলো সংসদে আনতে হবে।
সমকাল: শ্রীলঙ্কার একটু অভিজ্ঞতা যদি দেখা যায়, ওখানেও দুই বছর পর নির্বাচন হচ্ছে। রাজনৈতিক সরকারই ওখানে ছিল। তারাও সংস্কারের কথা বলেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয় নাই।
ফখরুল: কারণ, ওটা হয় না। শ্রীলঙ্কায় যেটা হয়েছে, ক্ষমতায় রাজনৈতিক দলই ছিল, যারা তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। ওখানে শুধু মূল লোকটার পরিবর্তন হয়েছে, যার কারণে সেখানে সংস্কারটা হয় নাই। আপনি দেশে একটা সংস্কার করলেন, সেটাকে আইনি বৈধতা দেবে কে? রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া তো কোনো সংস্কার প্রক্রিয়া চালানো যাবে না। এটা অসম্ভব। আপনাকে অবশ্যই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এগোতে হবে।
সমকাল: আপনার কি মনে হচ্ছে, বর্তমান সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড়াই সংস্কার করবে?
ফখরুল: ওদের আমি আসলে ঠিক বুঝতে পারছি না। খোলাখুলি বলছি, ওনাদের অবস্থানটা আমার কাছে পরিষ্কার না। অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে বোধ হয় কয়েকটা মত কাজ করছে। কেউ চায় যে এখনই সবকিছুর সংস্কার করা হবে। আবার কেউ চায়, অতদূর না গিয়ে বিদ্যমান সংবিধানের মধ্যে থেকেই আমরা প্রয়োজনীয় সংস্কার করব। কিন্তু সরকার তো মুখ খুলছে না। অস্পষ্ট কোনো জিনিসই কিন্তু ভালো না। আজকে এই সরকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টা নীতিগত যে একটা বক্তব্য দিয়েছেন, তাও খুব অস্পষ্ট। তারা কী করতে চান, সেই কথাগুলো স্পষ্ট করে জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। তা না হলে সেই সুযোগ অন্যরা নেবে। ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হবে।
সমকাল: নির্বাচন বিষয়ে কি কোনো ডেডলাইন থাকবে?
ফখরুল: না, আমি কোনো ডেডলাইনে যেতে চাই না। আমরা ডেডলাইন দিয়ে তাদেরকে ভারাক্রান্ত করতে চাই না। কিন্তু আমরা চাই যে অতিদ্রুত নির্বাচন করা দেশের জন্য, জনগণের জন্য ভালো। আপনি যত দেরি করবেন তত ক্ষতি হবে।
সমকাল: এক বছরের মধ্যেও এ ধরনের কোনো ডেডলাইন না দিলে বিএনপি কী করবে?
ফখরুল: বিএনপি এটার জন্য যা কিছু করা দরকার করবে।
সমকাল: আপনারা এরপর যে নির্বাচন হবে, সেখানে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ অনুমোদন করবেন কি করবেন না?
ফখরুল: আমরা একটা ডেমোক্রেটিক পলিটিক্যাল পার্টি। আমরা বরাবরই বহুদলীয় গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করেছি। আমাদের দলই, আমাদের নেতা মেজর জিয়াই ১৯৭৫ সালের পরে, তাদের একদলীয় বাকশালের পরে এটি প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তাই না? তখনও আওয়ামী লীগ ইলেকশন করেছিল। এবারও আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচন করতে চায়, কোনো বাধা যদি না থাকে, তাহলে অবশ্যই করবে। কেন করবে না? দল তো সমস্যা না। সমস্যা তো মানুষ, যারা ওই দলটিকে চালায়। ডেমোক্রেসি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সব দলের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
সমকাল: যদি দ্রুত নির্বাচন হয় তাহলে এ সরকারের পক্ষে গণহত্যা, লুণ্ঠন বা অন্যান্য বিচার করা সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে বিএনপি যদি ক্ষমতাসীন হয় তাহলে কীভাবে বিচার করবে?
ফখরুল: বিচার ব্যবস্থা আলাদা এবং স্বাধীন, সেখানে কেন এটা হবে না? কাজটা এখন শুরু হলে নির্বাচনের পরে গিয়ে শেষ হবে।
সমকাল: জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন ফিরে পেতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক কী হবে?
ফখরুল: আমাদের সব সময় জামায়াতের সঙ্গে ট্যাগ করবেন না যে জামায়াত-বিএনপি। না, এটা একদম ঠিক না। জামায়াত আলাদা দল, বিএনপি আলাদা দল। দুই দলের দৃষ্টিভঙ্গি এক না। আমরা ইতোমধ্যে ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দলকে হটাতে বহু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য প্রকাশ করেছি। যুগপৎ আন্দোলনে অন্যান্য দলের সঙ্গে জামায়াতও ছিল। আন্দোলনে এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু নির্বাচনে কী করব, সেটা আমরা তখন সিদ্ধান্ত নেব।
সমকাল: এখন যদি কোনো ধরনের বড় অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে আপনাদের আবার সক্রিয় হতে হবে।
ফখরুল: আমরা অবশ্যই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রুখে দাঁড়াব। আমরা এই সরকারকে ততক্ষণই সমর্থন জানাব, যতক্ষণ এই সরকার জনগণের সঙ্গে থাকবে।
সমকাল: কিন্তু আরেকটা চিন্তা আছে, বিএনপি দীর্ঘকাল নির্যাতিত হয়েছে, তাদের সংগঠনকে ধ্বংস করা হয়েছে। তো সব মিলিয়ে বিএনপি এ মুহূর্তে নির্বাচন করতে প্রস্তুত কিনা?
মির্জা ফখরুল: বিএনপি এখন অতিরিক্ত প্রস্তুত। আমাদের প্রতিটি আসনে নিম্নের পক্ষে ১০ থেকে ১৫ জন করে প্রার্থী আছেন। এ মুহূর্তে তা বেড়ে যাওয়ার কথা।
সমকাল: আমরা যে একদলীয় ব্যবস্থার মধ্যে ছিলাম, তার যে আলামত, তার যে আইন-কানুন, তার যে প্রতিষ্ঠান, সেগুলো ভাঙার ব্যাপারে আপনার প্রতিশ্রুতি কী?
ফখরুল: এটা খুব কঠিন কাজ না। আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল, সেগুলো ভাঙবই। এখন যারা আছেন, তাদের পক্ষেও ভাঙা কঠিন কাজ না। তিন দিনে করা যাবে। আপনারা যারা আইন বোঝেন, তারা তিন দিনে বসে সব করতে পারবেন। আর আমরা তো অবশ্যই করব। এটা আমাদের অঙ্গীকার। বিগত সরকারের আমলে যত অগণতান্ত্রিক আইন আছে, সব আমরা বাতিল করব এবং জনগণের পক্ষের আইনগুলো সামনে নিয়ে আসব থ্রু পার্লামেন্টে।
সমকাল: বন্যার কারণে মানুষ ভারতকে দায়ী করছে। ভারত প্রশ্নটা রাজনীতিতে ফিরে ফিরে আসছে। এ ব্যাপারে বিএনপির মনোভাব কী?
ফখরুল: বন্যার দায় সম্পূর্ণ ভারতের। বরাবরই ভারতবর্ষ এটা করে আসছে। কেন জানি না, ১৯৭১-এর পর থেকে ভারত কখনোই ইতিবাচক বা বন্ধুত্বের ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করেছে বলে আমার কাছে মনে হয়নি। সব সময় তারা বাংলাদেশকে বড় বাজার ভেবেছে, মক্কেল রাষ্ট্র ভেবেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওরা উজানে, আমরা ভাটিতে আছি। ৫৪টি নদীর পানির কোনো ভাগই হয়নি এখন পর্যন্ত, হিস্যাই হয়নি। এটা খুব জরুরি দরকার। তিস্তা নিয়ে দেখেছেন কী হয়েছে। শুধু তিস্তা নয়, ৫৪টা নদী। ভারতের কূটনৈতিক বিষয়টা আমার বাস্তববাদী মনে হয় না। আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা তাদের জন্য খুব জরুরি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার চাইতে জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্কটা তাদের জন্যই জরুরি। বিশাল জনগোষ্ঠী আজকে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলছে। তাই না?
সমকাল: ভারতসহ অনেক রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গোপন চুক্তি আছে, যা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে। বিএনপি সেগুলো প্রকাশের দাবি করবে কিনা?
ফখরুল: আমরা দাবি করেছি তো। দাবি আমরা ভারতের কাছেও করেছি, এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছেও করেছি। গত ১৫ বছরে সরকারের যে গোপন চুক্তিগুলো রয়েছে, সেগুলো প্রকাশ করতে হবে।
সমকাল: অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতা, যারা এ মুহূর্তে সারাদেশে ত্রাণের কাজ চালাচ্ছে, তাদের উদ্দেশে কিছু বলবেন?
ফখরুল: আমরা সেই প্রথমেই তাদের অভিনন্দন জানিয়েছি, স্যালুট জানিয়েছি। তাদের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের জনগণ একটা অসাধ্য সাধন করেছে। একটা ফ্যাসিবাদী শক্তিকে তারা সরিয়েছে। কারণ, ফ্যাসিবাদী সরকারের বিপক্ষে এ ধরনের মুভমেন্ট সাধারণত সফল হয় না। কিন্তু এটা তারা করেছে। তারা কৃতিত্বের দাবিদার। একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, এটা কিন্তু চিরস্থায়ী না। যদি তারা মনে করে যে সর্বক্ষেত্রেই তাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে, তাহলে বোধ হয় সেটা সঠিক হবে না। এখন পর্যন্ত তাদের যে ভূমিকা, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার এবং আমরা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট।
samakal