Site icon The Bangladesh Chronicle

রমজানে কোনো জিনিসের দাম বাড়েনি, দাবি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর

রমজানে কোনো জিনিসের দাম বাড়েনি, দাবি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর

এবার রমজানে নতুন করে কোনো জিনিসের দাম বাড়েনি বলে দাবি করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। দ্রব্যমূল্য এখন নিম্নমুখী উল্লেখ করে তিনি এও বলেন, ‘পুলিশ দিয়ে নয়, ভবিষ্যতে পণ্যের সরবরাহ তৈরি করেই দাম কমানো হবে।’

মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ খোলাবাজারে বিক্রি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে টিসিবির এই পেঁয়াজ।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানিতে তাড়াহুড়া করা যাবে না। কারণ, দেশি পেঁয়াজ রয়েছে। কৃষকরা যেন ন্যায্যমূল্য পায় এবং ভোক্তাদের অতিরিক্ত মূল্য দিতে না হয়, বাজারটা এমন অবস্থায় থাকুক।’

পেঁয়াজ আমদানির বিকল্প উৎস হিসেবে মিসর ও তুরস্কের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাহাজে পেঁয়াজ আনতে সময় লাগে, কম আনাও যায় না। ভারতে এখন নির্বাচনের সময়। তাদের ওখানে কৃষক আন্দোলন চলছে। তাদেরও ভোক্তা আছে। তবে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই তারা প্রতিশ্রুতি রেখেছে।’

দু-চারজন চাইলে আর বাজার নষ্ট করতে পারবে না বলে দাবি করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আপৎকালের জন্য পেঁয়াজ, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মজুত তৈরি করা হবে। প্রয়োজনে স্থায়ী দোকান করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নতুন সরবরাহের কারণে বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হবে। তেলেরও কোনো ঘাটতি নেই। তেলের দাম যেটা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তার চেয়ে বরং কমে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি চিনি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোনো জিনিসের দাম এই রমজানে বাড়েনি, রবং দ্রব্যমূল্য এখন নিম্নমুখী।’

সারা বছর নিত্যপণ্য আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে বলে এ সময় জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

সমকাল

Exit mobile version