Site icon The Bangladesh Chronicle

রক্তাক্ত পল্টন: বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গুলি, নিহত ১

 আমার দেশ
 প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:৫০

বিনা উস্কানিতে ফ্যাসিস্ট লাঠিয়াল বাহিনী আক্রমণ চালায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর

নিজস্ব প্রতিনিধি

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হওয়া সাধারণ নেতা-কর্মীদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে ফ্যাসিবাদের সহায়ক আওয়ামী পুলিশ। পুলিশের গুলিতে বিএনপির এক কর্মী নিহত হয়েছেন।

নিহতের নাম মকবুল হোসেন (৪০)। তাৎক্ষণিকভাবে তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া বলেন, নিহতের শরীরে শটগানের গুলির আঘাত দেখেছেন তিনি।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ নয়াপল্টনের দুই দিক থেকে (কাকরাইল ও ফরিকরাপুল) হামলা চালায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীদের ওপর। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে সামনে রেখে নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি বাড়ছিল।

পুলিশ হামলা চালানোর আগে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। তাঁর সাথে দলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীও আসেন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। মির্জা আব্বাস তখন সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করেন সরকার বিকল্প প্রস্তাব না দিলে নয়াপল্টনেই হবে বিএনপির মহাসমাবেশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিতি নেতা-কর্মীদের ওপর দুই দিক থেকে পুলিশ বেপরোয়াভাবে টিয়ারশেল ছুড়তে থাকে। পুলিশের হুইসেল ও টিয়ারশেলের ঝাঁঝে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। পথচারিরা নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটে যায়। বিএনপি’র কর্মীরা পুলিশের হামলা থেকে বাঁচতে এবং টিয়ারশেলের ঝাঁঝ থেকে রক্ষার জন্য রাস্তায় টায়ারে আগুন দেয়। নেতা-কর্মীরা সাধ্যমত চেষ্টা চালায় পুলিশকে মোকাবিলা করে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে। তবে আওয়ামী পুলিশের টিয়ারশেল ও শটগানের গুলিতে অনেক নেতা-কর্মী আহত হন। আহতদের একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

অনেক আহত নেতা-কর্মীকে নয়াপল্টনের আশে-পাশে বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলার এক পর্যায়ে পুলিশ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশের গলিতে ঢুকেও নিরীহ মানুষজনের ওপর হামলা চালায়।

ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে নয়াপল্টন এলাকায় একাধিক সাঁজোয়া যান, প্রিজন ভ্যান ও অতিরিক্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করে পুলিশ।

পুলিশের হামলা, লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেলের তাণ্ডবের পরও দলটির নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে দফায় দফায় মিছিল করেন। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন।

এদিকে, এ সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। এটা বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর পরিকল্পিত হামলা। সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশে পুলিশ হামলা করেছে। এতে দলের অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

 আমার দেশ
 প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:৫০

বিনা উস্কানিতে ফ্যাসিস্ট লাঠিয়াল বাহিনী আক্রমণ চালায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর

নিজস্ব প্রতিনিধি

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হওয়া সাধারণ নেতা-কর্মীদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে ফ্যাসিবাদের সহায়ক আওয়ামী পুলিশ। পুলিশের গুলিতে বিএনপির এক কর্মী নিহত হয়েছেন।

নিহতের নাম মকবুল হোসেন (৪০)। তাৎক্ষণিকভাবে তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া বলেন, নিহতের শরীরে শটগানের গুলির আঘাত দেখেছেন তিনি।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ নয়াপল্টনের দুই দিক থেকে (কাকরাইল ও ফরিকরাপুল) হামলা চালায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীদের ওপর। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে সামনে রেখে নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি বাড়ছিল।

পুলিশ হামলা চালানোর আগে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। তাঁর সাথে দলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীও আসেন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। মির্জা আব্বাস তখন সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করেন সরকার বিকল্প প্রস্তাব না দিলে নয়াপল্টনেই হবে বিএনপির মহাসমাবেশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিতি নেতা-কর্মীদের ওপর দুই দিক থেকে পুলিশ বেপরোয়াভাবে টিয়ারশেল ছুড়তে থাকে। পুলিশের হুইসেল ও টিয়ারশেলের ঝাঁঝে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। পথচারিরা নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটে যায়। বিএনপি’র কর্মীরা পুলিশের হামলা থেকে বাঁচতে এবং টিয়ারশেলের ঝাঁঝ থেকে রক্ষার জন্য রাস্তায় টায়ারে আগুন দেয়। নেতা-কর্মীরা সাধ্যমত চেষ্টা চালায় পুলিশকে মোকাবিলা করে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে। তবে আওয়ামী পুলিশের টিয়ারশেল ও শটগানের গুলিতে অনেক নেতা-কর্মী আহত হন। আহতদের একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

অনেক আহত নেতা-কর্মীকে নয়াপল্টনের আশে-পাশে বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলার এক পর্যায়ে পুলিশ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশের গলিতে ঢুকেও নিরীহ মানুষজনের ওপর হামলা চালায়।

ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে নয়াপল্টন এলাকায় একাধিক সাঁজোয়া যান, প্রিজন ভ্যান ও অতিরিক্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করে পুলিশ।

পুলিশের হামলা, লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেলের তাণ্ডবের পরও দলটির নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে দফায় দফায় মিছিল করেন। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন।

এদিকে, এ সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। এটা বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর পরিকল্পিত হামলা। সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশে পুলিশ হামলা করেছে। এতে দলের অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

Exit mobile version