গত শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পার্টির রওশনপন্থীদের কাউন্সিলে শফিকুল ইসলামকে কো–চেয়ারম্যান করা হয়। রওশন এরশাদের নেতৃত্বে পৃথক কাউন্সিল করার এক দিন পরই পদত্যাগ করেন শফিকুল ইসলাম।
কাউন্সিলে তাঁকে কো–চেয়ারম্যান করার কথা উল্লেখ করে পদত্যাগপত্রে শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমার দ্বারা এত বড় দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। কারণ, আমার পারিবারিক কাজ এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যা, উপরন্তু এলাকার মানুষের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সার্বক্ষণিক ব্যস্ততার মধ্যে থাকতে হয়। এমতাবস্থায় উপরিউক্ত বিষয়গুলোর আলোকে কো–চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করছি।’
দল থেকে পদত্যাগ, নাকি কো–চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ—জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে আমি আর নেই। এখন আমি এলাকার মানুষকে সময় দেব।’
শফিকুল ইসলাম ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর এলাকার কাউন্সিলর। জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-১৩ আসন থেকে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি থেকে সরকারের সঙ্গে ‘সমঝোতার’ প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জাতীয় পার্টিকে দেওয়া ২৬ আসনে তাঁর নাম ছিল না।
এ নিয়ে ক্ষুব্ধ শফিকুল ইসলাম জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। এর জেরে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে তিনি রওশন এরশাদের নেতৃত্বে কাউন্সিল অনুষ্ঠান ও নতুন জাতীয় পার্টি নামে দল গঠনে ভূমিকা রাখেন।
গত শনিবার রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান ও কাজী ফিরোজ রশীদকে নির্বাহী চেয়ারম্যান করে জাতীয় পার্টির কমিটি করা হয়। তাতে কাজী মামুনুর রশীদকে মহাসচিব, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান, সাইদুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সাদ এরশাদ, গোলাম সরোয়ার ও সুনীল শুভ রায়কে কো-চেয়ারম্যান করা হয়।
তবে রওশনপন্থী জাতীয় পার্টির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, রওশন এরশাদের দলের মহাসচিবসহ কয়েকজন নেতার সঙ্গে শফিকুল ইসলামের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। এর জেরে এখন পদত্যাগ করলেন তিনি।
প্রথম আলো