Site icon The Bangladesh Chronicle

যেভাবে দলে আসেন সাব্বির

যেভাবে দলে আসেন সাব্বির – ফাইল ছবি।

দেশ ছাড়ার আগে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে বিশ্বকাপের জন্য দোয়া চেয়েছিলেন সাব্বির রহমান। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। সেই বিশ্বকাপেই আর খেলা হলো না সাব্বির রহমানের। দলকে বিশ্বকাপে পাঠিয়ে নিউজিল্যান্ড থেকেই দেশে ফিরে আসতে হলো এক সময়ের তারকা এই ক্রিকেটারকে।

টানা ব্যর্থতার ফলে বিশ্বকাপের ঘোষিত দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে সাব্বিরকে। এই সুযোগে দলে এসে এশিয়া কাপে লঙ্কানদের প্রথম ম্যাচ খেলেন সাব্বির। এরপর আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ ও নিউজিল্যান্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেন একটি ম্যাচ। টানা চার ম্যাচে ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ ছিলেন তিনি। ৮৬ স্ট্রাইকরেটে করেন মাত্র ৩১ রান। ফলাফল ত্রিদেশীয় সিরিজে আর বাকি ম্যাচগুলোতে খেলা হয়নি সাব্বিরের, বাদ পড়েন বিশ্বকাপ দল থেকেও।

এই পর্যন্ত ঘটনা সবারই জানা। কিন্তু কারো জানা আছে কি, কিভাবে কি করে দলে ফিরলেন সাব্বির? ঘরোয়া ক্রিকেটেও আহামরি পারফরম্যান্স ছিলো না, বাদ পড়েছিলেন বিপিএলে তার দলের একাদশ থেকেও। এমনকি একটা সময় দেশজুড়ে পাড়ায় পাড়ায় ক্ষ্যাপ খেলে বেড়িয়েছেন। আর সেখান থেকেই হঠাৎ করে জাতীয় দলে! প্রশ্ন উঠতেই পারে, সম্ভব কী করে?

বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেতে যদিও পারফরম্যান্স প্রয়োজন হয় না, অন্যের ব্যর্থতাই যথেষ্ট। তবুও গুঞ্জন ছিলো সাব্বিরকে দলে ফেরাতে হাত ছিলো অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। সাব্বির নিজেও কথা প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টা বলেছিলেন। তবে বাংলাদেশের শীর্ষ এক দৈনিকের অনুসন্ধানে জানা যায় ভিন্ন এক গল্প। শোনা যায় শিহরণ জাগানিয়া এক তথ্য। এক পরিচালকের কাছে কান্নাকাটি করেই নাকি দলে এসেছিলেন সাব্বির!

ওই পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পর থেকে জাতীয় দলে ফিরতে লবিং করছিলেন সাব্বির। বিসিবির একটি সূত্র জানায়, নির্বাচকদের কাছে টানা ধরনা দিয়ে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে একজন পরিচালকের দ্বারস্থ হন সাব্বির। তার কাছে কান্নাকাটি করে অনুনয়-বিনয়ে পরিচালকের মন জয় করে নেন। অতঃপর জায়গা করে নেন বিশ্বকাপের ঘোষিত দলে।

জাতীয় দল-সংশ্নিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে তাদের জানান, ‘যেভাবেই হোক, জাতীয় দলে একটা সুযোগ দেয়া হয়েছিল সাব্বিরকে। এটা কাজে লাগাতে পারত সে। টানা চার ম্যাচ খেলে রান তো করেইনি, উল্টো মিস ফিল্ডিং করে হাসতে দেখেছি। উল্টো টিকটক বানিয়ে হাসিঠাট্টার পাত্র হয়েছে। সোজা পথে দলে আসেনি তো, তাই মূল্যটা বুঝতে পারেনি। এভাবে কাউকে দলে নেয়া ঠিক না। শুধু শুধুই বিশ্বকাপ দলে নেয়া হয়েছিল তাকে।’

তবে তা যদি সত্যি হয়, তবে দেশের ক্রিকেটের জন্য এক লজ্জাজনক ঘটনা হয়ে থাকবে। আর দেশের ক্রিকেট ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে এই ঘটনাগুলোই যথেষ্ট। তবে শেষ কথার এক কথা, লবিং করেও শেষ পর্যন্ত দলে আর জায়গা ধরে রাখতে পারলেন না সাব্বির রহমান।

Exit mobile version