হাউস্টোনের গ্যালারি-ড্রেসিংরুমহীন মাঠ হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটারদের তা ভালো মতো চেনা। কদিন আগে কানাডাকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। বাংলাদেশকে হারানোর মিশনে টস জিতে বোলিং নেয় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশকে আটকে রাখে ১৫৩ রানে। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় বড় রান তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।
ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার ভালো শুরু করেও দলের ৩৪ রানে পরপর আউট হন। লিটন ১৫ বলে দুই ছক্কার শটে ১৪ রান করেন। সৌম্য খেলেন ১৩ বলে তিন চারের শটে ২০ রানের ইনিংস। অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ব্যর্থ হন। তিনি ১১ বল খেলে মাত্র ৩ রান যোগ করেন। এরপর সাকিব ৬ রান করে ফিরলে ৬৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
ওই বিপদ থেকে তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ উদ্ধার করেন। তারা ৬৭ রানের জুটি গড়েন। মাহমুদউল্লাহ ২২ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন। হৃদয় ইনিংসের শেষ বলে ৪৭ বল খেলে ৫৮ রানে আউট হন। তিনি তিনটি চার ও দুটি ছক্কার শট তোলেন।
জবাব দিতে নেমে যুক্তরাষ্ট্র ভালো শুরু করলেও ৭৮ রানে চতুর্থ এবং ১৫তম ওভারে ৯৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারায়। ম্যাচ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। কিন্তু মিডল অর্ডারে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলা নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার কোরি এন্ডারসন ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত হারমিট সিং ৬২ রানের জুটি গড়ে তিন বল থাকতে ম্যাচ বের করে নেন।
এন্ডারসন খেলেন ২৫ বলে দুই ছক্কায় ৩৫ রানের ইনিংস। হারমিটের ব্যাট থেকে ১৩ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস আসে। তিনি তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের শট খেলেন। এর আগে ওপেনার স্টিফেন টেইলর ২৮ ও তিনে নামা আন্দ্রিয়েস গাউস ২৩ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৯ রান দরকার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। সাকিবের ওভার বাকি থাকলেও ক্রিজে বাঁ-হাতি ব্যাটার থাকায় মাহমুদউল্লাহকে বোলিংয়ে আনেন শান্ত। মুস্তাফিজ ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে ৪১ রান দিয়েছেন।
samakal