এ বার বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ভোটে শাসকদল আওয়ামি লিগের প্রার্থী নির্বাচনে সেই ‘মোদী নীতি’র প্রতিফলন দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল এ বার তাদের ৭৭ জন সাংসদকে টিকিট দেয়নি। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, টানা প্রায় দেড় দশক ক্ষমতায় থাকা দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া তৈরি হয়েছে। তা সামাল দিতেই এই কৌশল।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাদ পড়া বিদায়ী সাংসদদের মধ্যে ১৭ জন নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়ছেন। বাকি ৬০ জন ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তা ছাড়া, খুব বেশি আসনে বাদ পড়া সাংসদেরা অন্য দলে গিয়ে আওয়ামি প্রার্থীদের জেতার সম্ভাবনা নষ্ট করবেন, এমন সম্ভাবনা নেই। ছাঁটাই হওয়া সাংসদদের অধিকাংশই দলের ‘গোষ্ঠী সমীকরণের’ কারণে বাদ পড়েছেন বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি। তা ছাড়া, চলচ্চিত্র তারকা, ক্রিকেটার এবং হাসিনা ঘনিষ্ঠ অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের জায়গা করে দিতে বাদ পড়েছেন কয়েক জন।
আনন্দবাজার পত্রিকা