গত বছর দীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকট চরম আকার ধারণ করে। জ্বালানি, খাদ্য ও বিদ্যুৎ সমস্যার পাশাপাশি দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একেবারেই কমে যায়। এক পর্যায়ে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় দেশটির সরকার। আকাশছোঁয়া হয়ে যায় নিত্যপণ্যের দাম। মূল্যস্ফীতির হার বাড়তে বাড়তে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তা ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছায়।
পরবর্তীতে রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আর্থিক সহায়তা পায় শ্রীলঙ্কা। সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ নেওয়া হয় নানা উদ্যোগ। ফলে এক পর্যায়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান খাত পর্যটন থেকেও আয় বাড়া শুরু হয়। জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের সংকটও অনেকটা কেটে যায়। সেই সঙ্গে সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া কিছু পদক্ষেপের ফলে কমতে শুরু করে শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি। গত জুলাই মাসে এক অঙ্কের ঘরে নামে মূল্যস্ফীতির হার। মূল্যস্ফীতি কমার প্রবণতা অব্যাহত ছিল সেপ্টেম্বরেও।