Site icon The Bangladesh Chronicle

মুশফিকের রেকর্ড গড়া ইনিংসে লিড পেল বাংলাদেশ

টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। – ছবি : সংগৃহীত


লিড আসবে, তার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল ব্যাটারদের ব্যাটে। চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনে তার প্রমাণ মিলল। তামিমের সেঞ্চুরির পর মুশফিকের রেকর্ড গড়া ইনিংসের সুবাদে প্রথম ইনিংসে ৪৬৫ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। সব মিলিয়ে ৬৮ রানের লিড পেল স্বাগতিকরা।

তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশে রান ছিল ৩ উইকেটে ৩১৮ রান। মুশফিক ৫৩ ও লিটন ছিলেন ৫৪ রানে অপরাজিত। চতুর্থ দিনে শুরুটা মন্থর গতিতে আগান দুজন। একসময় দুজনই পৌঁছান আশির ঘরে। তখন বিপদ আসে। দলীয় ৩৮৫ রানের মাথায় রাজিথার বলে ডিকভেলার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। ১৮৯ বলে ১০ চারে ৮৮ রান করে ফেরেন তিনি।

পরের বলেই বোল্ড তামিম ইকবাল। আগের দিন তিনি ছিলেন রিটায়ার্ড হার্ট। এদিন মাঠে নেমে বলই বুঝতে পারলেন না। হয়ে যান বোল্ড। রান তার আগেরটাই, ১৩৩।

সাকিবের সাথে মুশফিকের জুটিও দারুণ হচ্ছিল। তবে মেজাজ হারিয়ে আউট হন সাকিব। ফার্নান্দোর বলে হাঁকাতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। ৪৪ বলে ২৫ রান করেন তিনি।

তবে মুশফিক ছিলেন অটল। ব্যক্তিগত ৯৭ রানের মাথায় দারুণ এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পৌঁছে যান তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে। টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি হাঁকাতে মুশফিক বল খেলেছেন ২৭০টি। এর মধ্যে বাউন্ডারি ছিল মাত্র চারটি। তার মানে ক্রিজে এই গরমের মধ্যে কতটা ধৈর্য নিয়ে খেলেছেন তিনি। ব্যক্তিগত ৯৭ রানের মাথায় ফার্নান্দোর বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শতক পূর্ণ করেন তিনি।

সেঞ্চুরি পরপরই বিদায় নেন মুশফিক। এম্বালদেনিয়ার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। নামের পাশে তখন ১০৫ রানের মূল্যবান ইনিংস। ২৮২ বলের ইনিংসে মুশফিক হাঁকান মাত্র চারটি চার, নেই কোনো ছক্কা। মুশফিকের ক্যারিয়ারে মন্থরগতির সেঞ্চুরি এটি।

মুশফিকের বিদায়ের পর টেল এন্ডারদের মধ্যে লড়েছেন নাঈম ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম। ৫৩ বল খেলে ৯ রান করে বিদায় নেন নাঈম। ৪৫ বলে ৩ চারে ২০ রান করে ফার্নান্দোর শিকার তাইজুল। শরিফুল ইসলাম ১১ বলে ৩ রান করার পর আহত হন। ব্যাটিং করতে পারেননি। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ৪৬৫ রানে।

বল হাতে শ্রীলঙ্কার হয়ে চারটি উইকেট নেন বিশ্বর কনকাশন সাব কাশুন রাজিথা। আসিথা ফার্নান্দো তিনটি, লাসিথ ও ধনাঞ্জয়া নেন একটি করে উইকেট।

Exit mobile version