শেষ শিরোপাটা বার্সেলোনা জিতেছিল তার পা থেকে আসা গোলের সুবাদেই। কিন্তু সেই জুলস কুন্ডেকেই ইন্টারের বিপক্ষে পাচ্ছে না বার্সেলোনা। গেল সপ্তাহে প্রথম লেগের খেলায় ইনজুরিতে পড়েছিলেন ফ্রেঞ্চ এই তারকা। অ্যাওয়ে ম্যাচের বিমান ধরার আগ পর্যন্ত বার্সেলোনা অপেক্ষা করতে চেয়েছিল কুন্ডের জন্য।
কিন্তু অপেক্ষা কাজে দেয়নি। হ্যান্সি ফ্লিকের স্কোয়াডে জায়গা হলো না জ্যুলস কুন্ডের। রাইট ব্যাকে তার বেশ বড় রকমের ধাক্কাই খেতে হচ্ছে ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা দলটির। এরিক গার্সিয়াকে দেখা যেতে পারে এই ম্যাচে রাইটব্যাকের ভূমিকায়।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে আলেহান্দ্রো বালদেকে পাচ্ছে না বার্সেলোনা, সেটাও একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। তরুণ এই লেফটব্যাক ইনজুরিতে পড়েছিলেন আরও আগেই। ইন্টারের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম লেগেও ছিলেন না তিনি। ৩৩ বছর বয়েসী ইনিগো মার্তিনেজের ওপরেই থাকবে লেফটব্যাক সামলানোর কাজ।
সুখবর নেই মার্ক কাসাদোকে নিয়েও। স্কোয়াড ট্রেনিংয়ে অংশ নিলেও তিনি এখনই ম্যাচ খেলার মতো অবস্থানে নেই এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। শেষ সময় পর্যন্ত অপেক্ষা ছিল তার জন্যেও। কাসাদোকে যদিও শেষ অব্দি স্কোয়াডে রাখেননি কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। তাকে রেখেই মিলানে গিয়েছে বার্সেলোনা।
তবে এতকিছুর মাঝেও সুখবর আছে রবার্ট লেভানডফস্কিকে নিয়ে। ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল দ্বিতীয় লেগের আগেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন মূল স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি। যদিও শুরুর একাদশে থাকছেন না তিনি এটা অনেকটাই নিশ্চিত। ফেরান তোরেসকেই দেখা যাবে নাম্বার নাইনের ভূমিকায়।
পোল্যান্ডের স্ট্রাইকার লেভানডফস্কি পুরো মৌসুমেই বার্সার জার্সিতে প্রতিপক্ষ শিবিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন। লামিনে ইয়ামাল এবং রাফিনিয়ার সঙ্গে লেভানডফস্কির ত্রয়ী ব্লু-গ্রানাদের সাফল্যের বড় চাবিকাঠি হয়েই ছিল। তবে মৌসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়েই ইনজুরিতে পড়েন তিনি। ১৯ এপ্রিল সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ম্যাচে বাম পায়ে মাংসপেশির ইনজুরিতে পড়েছিলেন লেভা।
কিন্তু স্বস্তির বিষয়, ইন্টারের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে থাকছেন তিনি। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী নামতে পারেন বদলি হিসেবে।