গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। ওই দিন পুলিশের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরদিন ২৯ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশ মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে।
বিবৃতিদাতারা বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য জাতি আজ উন্মুখ। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেও এ বিষয়ে তাঁর অঙ্গীকারের কথা বলেছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি নিরপেক্ষ সরকারের তত্ত্বাবধানে জাতীয় নির্বাচনের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সেটি করার দাবি জোরালো হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঠিক এই সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলা হয়েছে।
বিবৃতিদাতারা বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা যাতে শান্তিপূর্ণ পথে পরিচালিত হয়, তার জন্য মির্জা ফখরুলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বজনবিদিত। রাজনীতিতে সংঘাত পরিহার করে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা ফিরিয়ে আনতে মির্জা ফখরুলের মুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমরা মনে করি।’
বিবৃতিদাতারা বলেন, ‘আমরা আশা করি অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দিয়ে সরকার একটি শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ সুগম করবেন।’
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আছেন বদরুদ্দীন উমর, সালেহউদ্দীন আহমেদ, আনু মুহাম্মদ, আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, মাহবুব উল্লাহ, আহমেদ কামাল, সাইদুর রহমান, এ টি এম নুরুল আমিন, সদরুল আমীন, আকমল হোসেন, আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, তাজমেরি ইসলাম, নাসের বখতিয়ার, সিরাজুল ইসলাম, সি আর আবরার, এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রথম আলো