Site icon The Bangladesh Chronicle

মিয়ানমারের সংঘাত নিরাপত্তার সমস্যা তৈরি করবে: ডোনাল্ড লু

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু

 

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু মনে করেন, মিয়ানমারে সংঘাত যেভাবে চলছে, তাতে সেখানকার পরিস্থিতি ভালো হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফলে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের পাশাপাশি যে নিরাপত্তা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য তৈরি হয়েছে, তা ভারতেও তৈরি হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল ঘোষণার দুই বছর পূর্তিতে আয়োজিত এক সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে ডোনাল্ড লু এ মন্তব্য করেন। ওয়াশিংটনে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড স্টেটস ইনস্টিটিউট অব পিস (ইউএসআইপি) ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই সেমিনারের আয়োজন করে। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে সেমিনারটি সম্প্রচার করা হয়েছে।

সেমিনারের সঞ্চালক ও ইউএসআইপির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরামর্শক বিক্রম সিং প্রশ্ন রেখেছিলেন, নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ বা ঝুঁকির প্রেক্ষাপট থেকে এ অঞ্চলের দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রকে অংশীদার হিসেবে দেখতে চায়। এই অঞ্চলে কোনো ধরনের সংঘাত বিনিয়োগে প্রভাব ফেলে কি না এবং সংঘাতের কেন্দ্র কী হতে পারে?

ডোনাল্ড লু বলেন, ‘দীর্ঘস্থায়ী চ্যালেঞ্জ হিসেবে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার ওপর জোর দিতে চাই এবং মিয়ানমারের অস্থিতিশীলতা এ অঞ্চলে কতটা প্রভাব ফেলবে। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছে। বিশেষ করে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার প্রতি সমর্থন জানাই।’

মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সঙ্গে বিরোধী পক্ষের দেশজুড়ে সংঘাত যে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে, সেটি উল্লেখ করেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সেখানকার (মিয়ানমার) পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলে মনে হচ্ছে না। আমার উদ্বেগের বিষয় হলো, শরণার্থী সংকট, বাংলাদেশের জন্য তৈরি হওয়া নিরাপত্তার সমস্যা এবং ভবিষ্যতে ভারতের জন্যও সম্ভাব্য সমস্যা আরও গভীর আকার ধারণ করতে পারে।’

ডোনাল্ড লু বলেন, ‘আমাদের সবাইকে পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতের মতো এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারেরা যাতে চাপ সামলে নিয়ে নিজেদের দেশে অস্থিতিশীলতা মোকাবিলা করতে পারে, সে জন্য তাদের সহায়তা করতে হবে।’

সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ সহকারী মিরা র‌্যাপ হুপার, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তাবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী এলি র‌্যাটনার এবং পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামিল ডসন।

প্রথম আলো

Exit mobile version