Site icon The Bangladesh Chronicle

মিছিলে বাধা দিতে গিয়ে আপনি গুলি করার কে: গয়েশ্বর

নিহত আবদুর রহিম মাতবর ভোলা জেলা সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।

গয়েশ্বর রায় ফাইল ছবি: প্রথম আলো

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে কে, তাঁকেও খুঁজে বের করতে হবে। এসপি যে কথা বলেছেন, তাঁকে বলতে চাই, আপনি পৈতৃক সূত্রে ভোলার মালিক হননি। সেখানে চাকরি করতে গেছেন। আপনি বলেছেন, তাঁরা সভা শেষে মিছিল করতে চেয়েছে। মিছিল করতে চাওয়া কোনো অন্যায় নয়। এটা নাগরিক ও সংবিধানসম্মত অধিকার। আপনি বাধা দেওয়ার কে? বাধা দিতে গিয়ে আপনি গুলি করার কে? প্রতিটি গুলির হিসাব আপনাদের দিতে হবে।’

দলীয় নির্দেশনার আশায় বসে না থেকে যেখানে আঘাত সেখানেই পাল্টা আঘাত করার আহ্বান জানান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত দেন, নির্দেশ দেন, আমরা কিছু করব—এটা রাজনীতির ভাষা না। যখন ঘটনা ঘটে, তাৎক্ষণিকভাবে জ্বালিয়ে দিতে হয় সারা দেশ। যা কিছু হবে তাৎক্ষণিক, কিছুই বাকি না।’

কুইক রেন্টালের নামে বিদ্যুৎ খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, ‘২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের আয়োজন। দেশে গড়ে সাড়ে ১১ হাজার বা ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। অথচ দেশে প্রায় অর্ধেক সময় লোডশেডিং থাকে। তার মানে পাঁচ থেকে সাত হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় না। কিন্তু জনগণের টাকা গেল কোথায়? এর হিসাব দিতে হবে।’
হিসাব চাওয়ার জন্য সরকার গুলি করে মানুষ মারছে বলেও অভিযোগ করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘সাধারণ মানুষের জন্য কথা বলতে আসাই কি ছিল আবদুর রহিমের অপরাধ? তাঁকে গুলি করে মারা হলো।’

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্য নেতা–কর্মীরাও বক্তব্য দেন।

Exit mobile version