রাষ্ট্রপতি বলেন,মানবাধিকার আইনগত ভিত্তির পাশাপাশি একটি নৈতিক দিক রয়েছে। আমি আশা করবো, বাংলাদেশের মানবাধিকার আন্দোলন এতটাই বিস্তৃত হবে যে মানবাধিকার সম্পর্কে দেশের জনগণ সচেতন হয়ে উঠবে। আমরা সচেতন হয়েছি বলেই তো মার্কিনিদের শিক্ষা দিতে চাই। আমরাই তাদের থেকে বেশি মানবাধিকার রক্ষা করে থাকি। বাংলাদেশ মানবাধিকার রক্ষা করে থাকে। মানবাধিকারের সনদ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ মানবাধিকার রক্ষার একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, মার্কিনিরা আমাদের যেন আর মানবাধিকার না শেখায়। বাংলাদেশ তাদের মানবাধিকার শেখাবে। যারা আমাদের মানবাধিকার শেখায়, তাদের মাস্টার বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তাদের শেখাবে। তোমরা পরতে পরতে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। সারা বিশ্বে সংঘাত সৃষ্টি করছে। তোমাদের আমরা শেখাব মানবাধিকার কীভাবে রক্ষা করতে হয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিরাজমান বিশ্ব মানবতা পরিস্থিতি আমাদের আহত করে। গাজায় ইসরাইলের বর্বর হামলা চলছে। হাজার হাজার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। আমরা নিরব দর্শক হয়ে দেখছি। মানবাধিকার এখন রাজনৈতিক বক্তব্য হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যারা মানবাধিকারের ফেরিওয়ালা, তারা কী বললো? গাজায় প্রতিদিন হত্যা চলছে। সারেন্ডারের পর হত্যা জেনেভা কনভেনশনের লঙ্ঘন। যখন যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিলো জাতিসংঘ তখন মানবতার ফেরিওয়ালা যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিলো।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ২০০৯ সাল থেকে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দরিদ্র হ্রাস, শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ বিস্তার, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস ও নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থসামাজিক নানান সূচকে তাৎপর্যপূর্ণ সফলতা অর্জন করেছে। যেখানে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মানবতা লঙ্ঘিত ও লুণ্ঠিত হয়েছিল। তিনিই মানবাধিকারের প্রতি দৃঢ় আস্থা ও অঙ্গীকার থেকে ২০০৯ সালে মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছিলেন, ‘আমি ভুক্তভোগী, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ যেন ভুক্তভোগী না হয়।’ এতবড় মহান ব্যক্তিকে আমি শুভেচ্ছা জানাই।
চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর