Site icon The Bangladesh Chronicle

মামুনুল হকের মুক্তি না দিলে ঈদের পর মাঠে নামার ঘোষণা হেফাজতের

জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসায় ইফতার মাহফিলে হেফাজতে ইসলামীর নেতারা। ঢাকা, ২৯মার্চ

ঈদের আগে মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি না দিলে ঈদের পর মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব।

আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকার জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসায় সংগঠনটির এক ইফতার মাহফিলে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব এই ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনটির নেতারা অভিযোগ করেন, দেশকে ‘দিল্লির আনুগত্য’ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ‘ঈদের আগেই মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি হবে, না হয় ঈদের পর আমরা মাঠে নামব।’

১৯ মার্চ মামুনুল হককে জামিন দেওয়ার কথা ছিল বলে জানান জুনায়েদ আল হাবিব। তিনি বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল, আপনারা জামিন আবেদন করেন, মুক্তি হয়ে যাবে। কিন্তু ১৯ তারিখে মুক্তি হয় নাই। ঈদের পূর্বে মামুনুল হককে মুক্ত দেখতে চাই। না হয় ঈদের পরে আঙুল বাঁকা করতে বাধ্য হব।’

হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান পবিত্র ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে আছেন জানিয়ে জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ‘তিনি (মহাসচিব) ফোন করে বার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছেন, আমি যে কথাটি বলেছি, সেই কথার সঙ্গে তিনি সম্পূর্ণ একমত। তিনি বলেছেন, আমাদের সঙ্গে যেভাবে বারবার প্রতারণা করা হয়েছে, কথা রাখা হয় নাই। আপনি আমার পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলে দেন, মুক্তি হবে (মামুনুল হকের) ঈদের আগে, না হয় ঈদের পর আমরা মাঠে নামব।’

মামুনুল হকের মুক্তি চেয়ে হেফাজতের নায়েবে আমির ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক খলিল আহমদ কাশেমী বলেন, ‘(মামুনুল হকের) মুক্তির জন্য আমরা অনুরোধ করছি, সময় হলে আমরা ওনাকে যেমনভাবে হোক না কেন, মুক্ত করব।…আমাদের কঠোরভাবে কর্মসূচি দিতে হবে।’

আরেক নায়েবে আমির মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ কারাবন্দী মামুনুল হকের মুক্তির দাবি নিয়ে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হেফাজত প্রতিনিধিদলের একাধিক বৈঠকের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘ঈদের পরে আর কোনো মাধ্যমে নয়, কোনো মন্ত্রী নয়, সরাসরি শেখ হাসিনার সঙ্গে বসার ব্যবস্থা করেন। মামুনুল হককে মুক্তি দেবে কি দেবে না, ফয়সালা করেন।’

নায়েবে আমির খুরশীদ আলম বলেন, ‘মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি দরকার, এটা হলো মূল কথা। আমার মনটা বলে, সোজা আঙুলে ঘি উঠবে বলে মনে হয় না।’

সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহাদ্দিস আশরাফ আলী নিজামপুরী অভিযোগ করেন, দেশকে দিল্লির আনুগত্য করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

আল্লামা খলিল আহমদের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, আবদুর রব ইউসুফী, উবায়দুল্লাহ ফারুক, আবদুল আউয়াল ও আহমদ আবদুল কাদের, যুগ্ম মহাসচিব মুহিউদ্দিন রাব্বানী, সাংগঠনিক সম্পাদক বশির উল্লাহ,অর্থ সম্পাদক ও জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মনির হোসেন কাসেমী প্রমুখ।

prothom alo

Exit mobile version