মানুষ এখন নিজের ছায়া দেখলেও চমকে ওঠে: রিজভী
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এই মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, গতকাল বুধবার তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) প্রতিবেদন বিএনপির আমলে ঠিক ছিল। কিন্তু এখনকারটি মনগড়া। তথ্যমন্ত্রী তাঁর তথ্যযন্ত্রের মাধ্যমে এমন তথ্য দেন, যাতে শুধু দেশবাসীই নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সবিস্ময়ে হতবাক হয়ে পড়ে।বিএনপি এই নেতা বলেন, ‘টিআইয়ের প্রতিবেদনে স্বীকার করে নিলে তো তথ্যমন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব থাকে না। এ জন্য টিআইয়ের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে তাঁকে অপতথ্য দিতে হচ্ছে।’
রিজভীর ভাষ্য, প্রকৃতপক্ষে দুর্নীতির মাত্রা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত বলে সব তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে না। কেবল টিআই নয়, ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) গত সোমবার অর্থ পাচারের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, বাংলাদেশ থেকে এক বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে।
রিজভী তাঁর বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে সুস্পষ্ট হয়েছে, এই কমিশনের তদারকিতে সুষ্ঠু ভোট হবে না।
আরও পড়ুন:
টিআইএর প্রতিবেদনকে ‘ত্রুটিপূর্ণ ও মনগড়া’ বললেন তথ্যমন্ত্রী
এক বছরেই ৫০ হাজার কোটি টাকা পাচার
মন্তব্য ( ১৫ )
অবরোধের সময় আপনাদের দেখলে জনগণ আঁতকে উঠে।
Be careful mr. Rizvi.
গণতন্ত্র কতটা নাজুক, মানুষ এখন নিজের ছায়া দেখলেও চমকে ওঠে।
বিএনপি অফিসের আবাসিক এই নেতারা বেফাস মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে প্রকাশের জন্য বাংলাদেশে একমাত্র পাত্রিকা প্রথম আলোই আছে। অন্য মিডিয়ায় রিজভির মন্তব্য বিনোদন পাতায় ছাপায়, হাসির খোরাক হিসাবে।
দুর্নীতির মাত্রা যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে তা শতভাগ সত্য।
More than 5 times championship ?????
আপনাদের ভয়ে পেট্রোল হামলার শিকাররা আজও ঘুমাতে পারে না।
আমরা দুর্নীতির বিনাশ চাই এবং তা হতেই হবে! তবে আপনাদের মত দুর্নীতির চেম্পিয়নদের মুখের দুর্নীতি বা দেশ সম্পর্কে কোনো কথাই শুনতে চাই না!
আচ্ছা আমি যদি এখন গালি দেই, “….ভাই কোন কাজকাম নাই সারাদিন কেঁচকি গেট লাগায়ে গলা ফাঁটাও” তাহলে কি আমার বিরুদ্ধে কোন মামলা হবে? আমি কিন্তু ভাই গালি দেই নাই। এমনি বলছি, যদি দেই!!!
দেশের জনগন নয়, আতকে উঠে আসলে বিএনপি জামাত। ২০০১ থেকে ০৬ সালের তাদের দুঃশাসন, দুর্ণীতি, সন্ত্রাস জংগীপনা। আর ১৩,১৪,১৫ সালের আগুন সন্ত্রাস আর পেট্রোল বোমায় নিহত আহত, ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ গুলো ঘুমের মাঝেও তাদের তাড়িয়ে বেড়ায় তাই ছায়া দেখলেও তারা আতকে উঠে।
গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত বলে সব তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে না-আপনার এই বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়াতেই প্রমাণিত গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত নয়, অবারিত!
ক্ষমতায় যাবার জন্য যথেষ্ট জনসমর্থন বা আন্দোলন করে সরকার পতনের সক্ষমতা বিএনপি’র কোনটাই নেই।আগামী পাঁচ বছর শুধু আলোচনা/সংলাপ চলবে, তারপর পুনরায় নির্বাচন। রাজনীতি আর রাজপথে নয়, আলোচনার টেবিলে থাকবে।
Thanks Rejvi Bhi for your courageous statement
ক্ষমতায় বসার পর থেকেই সংবিধান সংশোধন করে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করে, বিরোধী পক্ষকে বিভাজিত করে তিনি তাঁর ক্ষমতাকে সুসংহত করেছেন। একই পন্থা অবলম্বন করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিংবা রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে। এ ক্ষেত্রে তিনি এমনকি আদালতকেও ব্যবহার করেছেন বিরোধী পক্ষের নেতাকে দণ্ডিত করে নির্বাচনের অযোগ্য করে তুলতে। বিভিন্ন দোহাই দিয়ে ফ্যাসিজম বারবার ফিরে আসে। ইতালিয়ান দার্শনিক উমবার্তো ইকোর মতে, ফ্যাসিজম নতুন নতুন ছদ্মবেশ নিয়ে ফিরে আসে। এখন যেমন