- ২৪ ডেস্ক
মাগুরার চাঞ্চল্যকর শিশু নির্যাতন ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামী হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া বাকি তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (১৭ মে) সকালে মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ রায় দিয়েছেন।
মামলার রায় সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিযুক্ত বিশেষ কৌঁসুলি আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী জানান, আদালত শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগম ও তাদের দুই ছেলেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালতসূত্র জানায়, অভিযোগ গঠন বা বিচার শুরুর মাত্র ২১ দিনের মাথায় আলোচিত এই মামলার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হলো। রায় ঘোষণা হলো ৬ মার্চ ঘটনা ঘটার দিন থেকে ৭৩ দিনের মাথায়।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল শিশুটি। ৬ মার্চ সকালে তাকে অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।
এর আগে ৮ মার্চ শিশুটির মা বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় ২৭ এপ্রিল। আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে ছুটির দিন বাদে টানা শুনানি চলে।
মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/২ ধারায়, শিশুটির বোনের স্বামী ও ভাশুরের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারায় এবং বোনের শাশুড়ির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় অপরাধের আলামত নষ্টের অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন গত ১৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর এবং ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়। ট্রাইব্যুনাল ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করে।