- by নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউর রহমান যদি স্বাধীনতার ঘোষক হন, তাহলে আমিও স্বাধীনতার ঘোষক বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, জিয়া যেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, সেদিন আমিও কাগজের চোঙ্গা বানিয়ে আমার বাড়িতে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলাম।
তাজুল ইসলাম বলেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই স্বাধীনতার ঘোষক মানে বাংলাদেশের জনগণ। কারণ তার কথাই শুনেছে এদেশের মানুষ। তিনি স্বাধীনতার মহানায়ক ও স্বপ্নদ্রষ্টা। এর ভাগ কাউকে দেওয়া যাবে না। কারণ বাবা তো আর দুই জন বানানো যাবে না। তিনিই তো জাতির পিতা।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানিরা ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে যখন এদেশের ওপর হামলা করে, যুদ্ধ শুরু হয় তখনই। আর যুদ্ধের জন্য দেশের সব মানুষকে ৭ মার্চের ভাষণেই উদ্বুদ্ধ করেছেন বঙ্গবন্ধু। পাকিস্তানিদের সঙ্গে ২৫ মার্চ রাতে যখন সব আলোচনা শেষ হয়ে গেল, জাতির পিতা তখনই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। স্বাধীনতার এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় যুদ্ধ। যুদ্ধ কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই শুরু হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা দিবসও কিন্তু ২৬ মার্চ।
জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ঘোষণা দেন ২৭ মার্চ। ওই সময় মেজর রফিক ছিলেন ক্যাপ্টেন। আসলে জিয়া যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেটা ছিল আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে যে সেনাবাহিনী আছে, সেটা জানানোর জন্য। ওই সময় আমি স্কুলের ছাত্র। আমি তার (জিয়া) ঘোষণা শোনার পর কাগজের একটা চোঙ্গা বানিয়ে মুখে দিয়ে বাড়ির মাঝখানে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলাম। তাহলে আমিও তো একজন ঘোষক। অর্থাৎ জিয়া যদি স্বাধীনতার ঘোষক হয়, তাহলে আমি কেন হব না?— বলেন তাজুল ইসলাম।