Site icon The Bangladesh Chronicle

মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যুক্ত করতে চাইছেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন আজারবাইজানসহ মধ্য এশিয়ার কয়েকটি মিত্র দেশকে ইসরায়েলের সঙ্গে আব্রাহাম চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করতে সক্রিয় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। একাধিক সূত্রের বরাতে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ইসরায়েলের সঙ্গে দেশগুলোর বিদ্যমান সম্পর্ক আরও গভীর করা।

মধ্য এশিয়া ও ডোনাল্ড ট্রাম্প

সূত্রগুলো জানিয়েছে, আজারবাইজানসহ মধ্য এশিয়ার প্রায় সব দেশই দীর্ঘকাল ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। তাই তাদের আব্রাহাম চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি মূলত প্রতীকী হবে। এর কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বাণিজ্য, সামরিক সহযোগিতা এবং কৌশলগত সম্পর্ক শক্তিশালী করার মতো বিষয়গুলো।

এর আগে ২০২০-২১ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার চারটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ—সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদান—ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে মূল আব্রাহাম চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল।

তবে গাজায় ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযান ও ত্রাণ অবরোধের কারণে সৃষ্ট মানবিক সংকট আরব বিশ্বে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু ও দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি নতুন কোনো দেশকে আব্রাহাম চুক্তিতে যুক্ত করার মার্কিন প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলেছে।

এই উদ্যোগের পথে আরেকটি বড় বাধা হলো আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার চলমান সংঘাত। কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ককেশাসের এই দুই দেশের মধ্যে শান্তিচুক্তিকে আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানের পূর্বশর্ত হিসেবে দেখছে।

যদিও ট্রাম্প প্রশাসন প্রকাশ্যে বেশ কয়েকটি দেশকে এই চুক্তিতে যুক্ত করার সম্ভাবনার কথা বলেছে, তবে সূত্রমতে আজারবাইজানকে নিয়েই আলোচনা সবচেয়ে গোছানো ও গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি আগামী কয়েক মাস বা সপ্তাহের মধ্যেও একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।

চলতি বছরের মার্চ মাসে ট্রাম্পের শান্তি মিশনের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ আজারবাইজানের রাজধানী বাকু সফর করেন এবং প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরবর্তীতে বসন্তে উইটকফের সহকারী আরিয়ে লাইটস্টোনও আলিয়েভের সঙ্গে বৈঠক করেন, যেখানে আব্রাহাম চুক্তির বিষয়টি আলোচিত হয়।

আলোচনার অংশ হিসেবে আজারবাইজানের কর্মকর্তারা কাজাখস্তানের মতো মধ্য এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে আব্রাহাম চুক্তির সম্প্রসারণে তাদের আগ্রহ যাচাই করছেন বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।

Exit mobile version